রক্ত লাগলে একটা মানুষ অসহায় হয়ে যায়। আমার বাবার যখন ব্লাড ক্যান্সার হয়েছিল, তখন আমি বুঝেছি রক্তের জন্য কতটা অসহায় হতে হয়। আমার বাবাকে আমি নিজে নয় ব্যাগ রক্ত দিয়েছি। আমার অনেক বন্ধুও আমার বাবাকে রক্ত দিয়েছে। যদিও আমার বাবা মারা গিয়েছেন। রক্তদান দিবস উপলক্ষে আজাদীকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে এসব কথা বলেন মো. আজাদ। ৪২ বছর বয়সী এ ব্যক্তি গত ১৭ বছরে ৩৪ বার রক্ত দান করেছেন। ২০০২ সালে আজাদের বাবার ব্লাড ক্যান্সার ধরা পড়ে। এরপর প্রায়ই তার বাবাকে রক্ত দেওয়া লাগতো। ২০০৫ সাল থেকে নিজের বাবাকে ৯ বার রক্ত দেন। ২০১০ সালে আজাদের বাবা মারা যায়। এরপর রক্তদানের কাজ অব্যহত থাকে আজাদের।
মো. আজাদ বলেন, আমি প্রথম ২০০৫ সালে রক্ত দিই। তখন মোবাইলের প্রচলন কম ছিল। সহজে রক্ত পাওয়া যেত না। আমার বাবার জন্য রক্ত সংগ্রহ করতে অনেক কষ্ট হয়েছে। পরে বুঝলাম রক্ত লাগলে মানুষ কতটা অসহায় হয়ে যায়। এজন্য আমি তখন থেকে জরুরি রক্ত লাগলে ছুটে যায়। আমি সিটিজি ব্লাড ব্যাংকের এডমিন হিসাবে আছি। আমাদের গ্রুপে কারো জরুরি রক্ত লাগলে আমাকে বলা হয়।
তিনি বলেন, প্রতি চার মাস অন্তর অন্তর আমি রক্ত দিই। আমি গভীর রাতে কল দিলেই চলে যায় রক্ত দিতে। রক্ত দিয়ে মানুষের যে খুশি দেখি সেটা অনেক আনন্দের। গত কয়েক মাস আগে একজনকে রক্ত দিয়েছি। উনার মা পরে আমাকে জড়িয়ে ধরে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েছেন। এটা সত্যি ভালো লাগার বিষয়। সবার এ রকম রক্তদানে এগিয়ে আসা উচিত।