চাঁদনী রাতে চারিদিকে আলোর বন্যায় ভাসিয়ে দেয় প্রকৃতির মৃদু হাতছানি, বনাঞ্চল–বনভূমে কতিপয় ক্লান্ত যুবক। আজ শৃঙ্খলমুক্ত, মুক্তিযুদ্ধের বিজয় উল্লাসে ছুটে আসছে নিজভূমে দেশ করে মুক্ত, স্বাধীন, এলো আমাদের কাঙ্ক্ষিত বিজয়।
মনে পড়ছে, আজ নয় মাস আগের স্মৃতি– খাবার থালা হাতে ঠেলে হঠাৎ দৌড়– সামনের দরজায় বুটের লাথির শব্দে– আচমকা হৃদযন্ত্র বন্ধ হয়ে গেছে যেন মা ঠেলে পেছন দরজা দিয়ে ধাক্কা দেন, যেন তার ছেলেরা বেঁচে ফিরে। ফিরছি ঘরে, ঘরে ঘরে আজ আড্ডায়– হাসি উল্লাসে, আলিঙ্গনে আপ্লুত হবার আশায়; কিন্তু নয়মাসের ধ্বংসযজ্ঞের বেদনাবিধূর নির্মমতার ছোঁয়া যেন চারপাশ, কী নিদারুণ নিষ্ঠুরতার কাহিনি সর্বত্র! ছোট বোনটির মুখে, চোখে–গায়ে! মায়ের কী যে যন্ত্রণা! অশীতিপর বৃদ্ধ বাবা অকুতোভয় যেন–একসাগর কষ্ট বুকে ধারণ করে বিজয় নিশান উঁচিয়ে ধরেছে। রক্তের দামে কেনা এ বিজয় আমাদের বোনের, মায়ের, ভাইয়ের ত্যাগের; গৌরবের।












