রক্তিম কৃষ্ণচূড়া
প্রতিটি পাপড়ি যেন একেকটি দীর্ঘশ্বাস,
মাটির বুক চিরে উঠে আসা রক্তের মতন
না, যুদ্ধ নয়,
তবুও এই লাল এক অমোঘ আহ্বান
হারানো সময়ের।
একদা যে ছায়াটুকু ছিল দীর্ঘ,
আজ তা ছিন্ন,
হাওয়ার শরীরে ঝরে পড়ে কালের কুরুশে গাঁথা
আবছা কোনো চিহ্ন।
কৃষ্ণচূড়ার ছায়ায় দাঁড়িয়ে
আমি দেখি স্মৃতির ভাঙা দরজা,
যেখানে তোমার নিঃশব্দ পায়ে হেঁটে যাওয়া
অদৃশ্য হয়ে যায় ছায়ার অতলে।
তুমি কি জানো?
এই বৃক্ষও একদিন পাতা ঝরায়
তবুও আবার ফলায় রঙিন আগুন,
আবার প্রতীক্ষায় দাঁড়ায় বসন্তের।
তেমনি আমরাও
অস্ফুট উচ্চারণে খুঁজি অনস্তিত্বের ব্যাখ্যা,
তবু বেঁচে থাকি,
যেন কৃষ্ণচূড়ার মতোই
ঝরে পড়েও ফিরে আসার প্রতিশ্রুতি নিয়ে।