রক্তাক্ত হচ্ছে শিশুরা, যুদ্ধ বন্ধ করুন : প্রধানমন্ত্রী

গাজায় হাসপাতালে হামলার নিন্দা

| বৃহস্পতিবার , ১৯ অক্টোবর, ২০২৩ at ৫:২৪ পূর্বাহ্ণ

যুদ্ধসংঘাত আর অস্ত্রের খেলায় ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের শিশুরাও যে রক্তাক্ত হচ্ছে, সে কথা মনে করিয়ে দিয়ে ফের সংঘাত বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিশ্ব নেতাদের উদ্দেশে তিনি বলেছেন, যুদ্ধের পেছনে অর্থ ব্যয় না করে বিশ্বের শিশুদের খাবার ও স্বাস্থ্যের জন্য ব্যয় করুন। যুদ্ধ, অস্ত্র মানুষের মঙ্গল আনে না। সবচেয়ে কষ্ট পায় আমার নারীরা, আর যুবকরা দেয় জীবন। সন্তানহারা পিতা মাতা, পিতা মাতা হারা সন্তান। তাদের কী যে বেদনা, সেটা আমরা জানি। ঢাকায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে গতকাল বুধবার শেখ রাসেল দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ আহ্বান জানান সরকার প্রধান। খবর বিডিনিউজ ও বাসসের।

বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, যুদ্ধের সময় কী অবস্থা হতে পারে, সেটা আমাদের নিজেদের জীবন দিয়ে দেখেছি। আমার চোখে দেখেছি, লাশ পরে আছে ঢাকা শহরের বিভিন্ন জায়গায়। আজকে সারা পৃথিবীতে যে যুদ্ধ চলছে, কিছুদিন আগে দেখলাম ইউক্রেনরাশিয়ার যুদ্ধ, এখন আবার প্যালেস্টাইনের ওপর ইসরায়েল, ইসরয়েলেও শিশু মারা গেছে, প্যালেস্টাইনেও মানুষ মারা যাচ্ছে। মঙ্গলবার দেখলাম হাসপাতালে বন্দি করে মানুষ মারছে। রক্তাক্ত সেই শিশুদের চেহারা। শেখ হাসিনা বলেন, আমি বিশ্ব নেতৃবৃন্দকে বলব, যুদ্ধ বন্ধ করেন। অস্ত্র প্রতিযোগিতা বন্ধ করেন। আমরা যুদ্ধ চাইনা, যুদ্ধ বন্ধ করার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি। বরং অস্ত্র বানানো এবং অস্ত্র প্রতিযোগিতা যে অর্থ ব্যয় হয়, সেই অর্থ সারা বিশ্বের শিশুদের খাদ্য, স্বাস্থ্য ও তাদের উন্নয়নের জন্য ব্যয় করা হোক, এটাই আমাদের দাবি। আমরাই সেটাই চাই।

বাংলাদেশ শান্তি চায়, সেই কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, শান্তি উন্নতি দেয়, যুদ্ধ ধ্বংস করে। ধ্বংস চাই না উন্নতি চাই। আমরা শান্তির পক্ষে সবসময় কাজ করি।

ধর্মবর্ণ সকলকে মানুষ হিসেবে দেখতে হবে। আর কেউ যদি বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন হয়, কেউ যদি পঙ্গু হয়, আমরা তো ছোটবেলা শিখেছিঅন্ধকে অন্ধ বলিও না, পঙ্গুকে পঙ্গু বলিও না। বরং তাদেরকে সাহায্য করো। আমাদের শিশুদেরকে সেভাবেই মানসিকতা গড়ে তুলতে হবে। অনুষ্ঠানে শেখ রাসেল পদক প্রদান করেন প্রধানমন্ত্রী। ভারতের সাবেক সেনাকর্মকর্তা কর্নেল অশোক কুমার তারা’র একটি ভিডিও বার্তা অনুষ্ঠানে প্রচার করা হয়। তিনি ’৭১ এর ১৭ ডিসেম্বর বঙ্গবন্ধু পরিবারকে পাকিস্তানি বন্দিদশা থেকে মুক্ত করার পর রাসেলকে যেমন দেখেছেন তা নিয়ে নিজস্ব অনুভূতি ব্যক্ত করেন। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক সম্পাদিত শেখ রাসেলের জীবনীভিত্তিক গ্রন্থ ‘স্মরণের আবরণে শেখ রাসেল’এর মোড়ক উন্মোচন করেন। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার লেখা গ্রন্থ ‘আমাদের রাসেল সোনা’কে নিয়ে নির্মিত ত্রিমাত্রিক চলচ্চিত্র ‘আমাদের রাসেল সোনা’র ট্রেলার প্রদর্শন করা হয়। শেখ রাসেল দিবস ২০২৩ উপলক্ষ্যে তথ্য ও যোগাযোগ বিভাগ নির্মিত তথ্যচিত্র ও প্রদর্শিত হয়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধস্মার্ট জেলা উদ্ভাবন চ্যালেঞ্জে প্রথম চট্টগ্রাম
পরবর্তী নিবন্ধপুলিশের সাবেক পরিদর্শক শাহ আলমের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা