স্বাধীনতা বলতে–
হৃদয়ের যতটা তাড়নায় জানতে চেয়েছো
তার চেয়েও বেশি ক্ষরিত হবে তোমার হৃদয়
যদি তুমি জানতে পারো
এর পেছনের রক্তঝরা ইতিহাস।
উত্তপ্ত মার্চের এই দিনে রমনার রেসকোর্স ময়দানের জনসমুদ্রে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, শতাব্দীর মহাপুরুষ বাংলার অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সারা পৃথিবী কাঁপানো ভাষণের টগবগে রক্তে আগুন জ্বলা বজ্রকণ্ঠে উচ্চারণ করলেন, ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম। এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’ ১৮ মিনিটের ঐতিহাসিক সেই ভাষণে বঙ্গবন্ধু পূর্ব পাকিস্তানের বাঙালিদেরকে স্বাধীনতা সংগ্রামের জন্য প্রস্তুত হওয়ার আহ্বান জানান। এই ভাষণের মধ্য দিয়েই বাঙালির ভবিষ্যত ভাগ্য স্পষ্ট নির্ধারিত হয়ে গিয়েছিল। ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের এই দিকনির্দেশনামূলক ভাষণটি ছিল একটি নতুন দেশের অভ্যুদয় বার্তা। ‘বাঙালির জাতীয় মুক্তিসংগ্রামকে পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন হিসেবে চিহ্নিত করার অপপ্রয়াস চালিয়েছিল। কিন্তু দূরদর্শী নেতা বঙ্গবন্ধু তা উপলব্ধি করে অসহযোগ আন্দোলনের সূচনা করেন এবং বাংলার মানুষকে স্বাধীনতার মোহনায় ঐক্যবদ্ধ করেন। মাতৃভূমির শৃঙ্খল–মুক্তি চাই, চাই জয় বাংলা। সেই কাঙ্ক্ষিত মুক্তিযুদ্ধ এলো।