রং কয়লা ভূষি দিয়ে তৈরি হচ্ছে হলুদ ও মরিচের গুঁড়া

কারখানা মালিককে লাখ টাকা জরিমানা, এক বছরের কারাদণ্ড

আজাদী প্রতিবেদন | শুক্রবার , ১৯ জানুয়ারি, ২০২৪ at ৫:১৮ পূর্বাহ্ণ

হলুদের গুঁড়া হলুদ দিয়ে, মরিচের গুঁড়া তৈরি হবে মরিচ দিয়ে। কিন্তু নগরীর চাক্তাইয়ের মিয়াখান নগর ব্রিজের পাশে ঘটেছে উল্টোটা। মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর রঙ, কয়লা, কাঠের গুঁড়া ও অত্যন্ত নিম্নমানের ভূষি দিয়ে একটি কারখানায় তৈরি করা হচ্ছিল হলুদ, মরিচের গুঁড়া। গতকাল বিকালে জেলা প্রশাসনের একটি টিম হাজী ফ্লাওয়ার মিল নামের কারখানাটিতে অভিযান পরিচালনা করলে এ চিত্রের দেখা পাওয়া গেছে।

কারখানাটি থেকে জব্দ করা হয়েছে ক্ষতিকর উপাদান দিয়ে তৈরি ভেজাল ৯০০ কেজি মসলা। পরে সেগুলো ধ্বংস করা হয়। এছাড়া কারখানা মালিকসহ চারজনকে আটক করা হয়েছে। এরমধ্যে মালিক বাচ্চু মিয়াকে এক লাখ টাকা জরিমানা ও এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। অভিযানে নেতৃত্ব দেন নির্বাহী

ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক দত্ত। উপস্থিত ছিলেন কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম ওবায়দুল হক। জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামানের নির্দেশে অভিযান পরিচালনার কথা জানিয়ে ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক দত্ত আজাদীকে বলেন, প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে একটি মসলার কারখানায় অভিযান চালিয়েছি। অভিযানে গিয়ে দেখি মসলা তৈরির প্রসেসটা গুরুতর। মসলায় ব্যবহার হচ্ছে রঙ, কয়লা, কাঠের গুঁড়া। এমনকি অত্যন্ত নিম্নমানের ভুষি ব্যবহার হচ্ছিল। মূলত রমজানকে সামনে রেখে অধিক মুনাফার লোভে বাচ্চু মিয়া ভেজাল মসলা প্রস্তুত করছিলেন। প্রতি বছর বাচ্চু মিয়ার মতো কিছু ব্যবসায়ী এ কাজ করে থাকেন। এবারের রমজানে যাতে ভেজাল মসলা বাজারজাত না হয় সেটিকে গুরুত্ব দিয়ে জেলা প্রশাসক অভিযান পরিচালনার নির্দেশ দিয়েছেন। অভিযানে জব্দ ভেজাল মসলা জনসমক্ষে ধ্বংস করা হয়েছে। এ ধরনের অভিযান নিয়মিত পরিচালিত হবে বলেও জানান তিনি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, প্রতি বছরই পবিত্র রমজান মাসে অধিক মুনাফা লাভের আশায় বেশ কিছু অসাধু ব্যবসায়ী চট্টগ্রামে ভেজাল মসলা উৎপাদন ও বাজারজাত করেন। এ বছর রমজানে চট্টগ্রামে যেন এরকম ভেজাল খাদ্যদ্রব্য তৈরি ও বাজারজাত না হয় সে বিষয়ে প্রশাসনের কঠোর নজরদারি অব্যাহত থাকবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপর্যায়ক্রমে এলাকার সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করবো
পরবর্তী নিবন্ধপরিবেশ দূষণ নিয়ে শঙ্কা হাই কোর্টের