রুদ্ধশ্বাস শেষ ওভারে খুলনা টাইগার্সকে ৮ রানে হারিয়ে টানা সপ্তম ম্যাচে জয় পেয়েছে রংপুর রাইডার্স। পাঁচ ম্যাচে খুলনার এটি তৃতীয় হার। সিলেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত এ ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে রংপুর রাইডার্স ৫ উইকেটে ১৪৬ রান সংগ্রহ করে। জবাবে খুলনা টাইগার্স থেমে যায় ৯ উইকেটে ১৭৮ রান করে। টস জিতে ব্যাট করতে নামা রংপুরের উদ্বোধনী জুটি থেকে আসে কেবল ১৯ রান। স্টিভেন টেলরকে বোল্ড করে এই জুটি ভাঙেন আবু হায়দার রনি। তিনে নামা সাইফ হাসানও টিকতে পারেননি বেশিক্ষণ। ১১ বলে ৭ রানে হাসান মাহমুদের শিকার হন তিনি। ভাল করার চেষ্টা করছিলেন তৌফিক খান। কিন্তু তিনি ফিরেন ৩০ বলে ৩৬ রান করে। রনির বলে মোহাম্মদ নাওয়াজের হাতে ক্যাচ তুলে দেন এই ওপেনার। রংপুর ৭০ রানে ৩ উইকেট হারালেও চতুর্থ উইকেটে ১১৫ রান যোগ করেন দুই পাকিস্তানি খুশদিল এবং ইফতিখার। সেই জুটি থামে হাসানের বলে ইফতিখার এলবিডব্লিউ হলে। ৩৬ বলে ৫ চারে ৪৩ রান করেন এই ব্যাটার। তবে তার স্বদেশি খুশদিল অপরাজিত থাকেন শেষ পর্যন্ত। ৩৫ বলে ৪ চার ও ৬ ছক্কায় ৭৩ রান করেন তিনি। আর রংপুর সংগ্রহ করে ১৮৬ রান। খুলনা টাইগার্সের হয়ে দুটি করে উইকেট নেন আবু হায়দার রনি ও হাসান মাহমুদ। ১৮৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামা খুলনা টাইগার্স ৩১ রানে প্রথম উইকেট হারায়। ডরউইস রাসুলি ফিরেন ১৫ বলে ১৭ রান করে। দ্বিতীয় উইকেটে নাঈম এবং মিরাজ মিলে যোগ করেন ৬১ রান। ২৪ বলে ৩৯ রান করা মিরাজকে ফিরিয়ে এজুটি ভাঙেন সাইফউদ্দিন। ইনিংস শুরু করতে নামা মোহাম্মদ নাঈম ফিরেন নিজের হাফ সেঞ্চুরি পূরণ করেই। দলকে ১৩৭ রানে পৌঁছে নিয়ে নাঈম ফিরেন ৪১ বলে ৫৮ রান করে। চতুর্থ উইকেট জুটিতে আফিফ হোসেন এবং মাহিদুল ইসলাম অংকন ২৮ রান যোগ করেন। আফিফ ১৫ বলে ২৯ রান সংগ্রহ করে মেহেদি হাসানের এলবির শিকার হন। জুটি বাঁধেন মোহাম্মদ নাওয়াজ এবং অংকন। তবে অংকন আকিফ জাভেদের বল খেলতে গিয়ে বোল্ড হয়ে যান। ৫ম উইকেটের পতন ঘটে। ১২ বলে ১৫ রান সংগ্রহ করেছিলেন তিনি। এরপর নামেন অভিজ্ঞ ইমরুল কায়েস। ৩ বল খেলে ১টি চারের সাহয্যে ৫ রান করে তিনি ইফতেখার আহমদের হাতে ধরা পড়েন। আকিফ জাভেদের আগের বলটিতে চার হাঁকিয়েছিলেন ইমরুল। পরের বলও হাঁকাতে গিয়ে আউট হন তিনি। শেষ ওভারে খুলনার দরকার পড়ে ১২ রান। এই ওভারেই যেন পুরো ম্যাচের উত্তেজনা ভর করে। মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন প্রথম দুই বলে দেন ডট। তৃতীয় বলে ওয়াইড। পরের তিন বলে তিন উইকেট। ডাবলস নিতে গিয়ে রানআউট হন মোহাম্মদ নাওয়াজ। তিনি ৭ বলে ৪ রান করেন। সাইফ হাসান সরাসরি থ্রোতে ভেঙে দেন স্টাম্প। পরের বলে নাসুম আহমেদ রানআউট। পঞ্চম বলে বাউন্ডারিতে ক্যাচ আবু হায়দার। স্টিভেন টেলরের হাতে ধরা পড়েন তিনি। শেষ ওভারে মাত্র ৩ রান দিয়ে ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দেন সাইফউদ্দিন। খুলনাকে থামতে হয় ৮ রান বাকি থাকতেই। ৯ উইকেটে ১৭৮ রান করে তারা। রংপুরের পক্ষে আকিফ জাভেদ ৩টি,মেহেদি হাসান এবং সাইফউদ্দিন ২টি করে উইকেট তুলে নেন। ম্যাচ সেরা হন হন রংপুরের আকিফ জাভেদ।