রংপুরের টানা পাঁচ জয় আর ঢাকার চতুর্থ হার

ক্রীড়া প্রতিবেদক | বুধবার , ৮ জানুয়ারি, ২০২৫ at ৮:৪৩ পূর্বাহ্ণ

ঠিক যেন ভিন্ন পথে চলা। একদল উড়ছে আর আরেক দল পতিত হচ্ছে। এবারের বিপিএলে রংপুর রাইডার্স যেন উড়ছে। আর ঢাকা ক্যাপিটালস ক্রমশ ভূপাতিত হচ্ছে। এরই মধ্যে টানা পাঁচ ম্যাচে জিতে নিজেদের সবার ধরা ছোঁয়ার বাইরে নিয়ে গেছে রংপুর রাইডার্স। আর ঢাকা ক্যাপিটালস টানা চার ম্যাচে হেরে এখনো জয়ের মুখ দেখেনি। বলা যায় ঢাকা ক্যাপিটালসের ভাগ্য ফিরছে না কিছুতেই। একের পর এক ম্যাচে হারই সঙ্গী হচ্ছে শাকিব খানের মালিকানাধীন দলটির। এবার তারা হেরেছে রংপুর রাইডার্সের কাছে। এ নিয়ে টানা চতুর্থ ম্যাচে হার দেখলো থিসারা পেরেরার দল। রয়ে গেলো পয়েন্ট তালিকার তলানিতে। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ঢাকা ক্যাপিটালসকে ৭ উইকেট আর ৪০ বল হাতে রেখে উড়িয়ে দিয়েছে রংপুর। নুরুল হাসান সোহানের দলের এটি টানা পঞ্চম জয়। পয়েন্ট তালিকার শীর্ষেই আছে তারা। ঢাকাকে ১১১ রানেই গুটিয়ে দিয়ে জয়ের ভিত গড়ে দিয়েছিলেন নাহিদ রানাখুশদিল শাহরা। জবাব দিতে নেমে আরও একবার ব্যর্থ যুব দলের আজিজুল হাকিম তামিম। ১৪ বল খেলে ৫ রান করে আউট হয়ে যান তিনি।

জয়ের আশায় জেসন রয়, হাবিবুর রহমান সোহান, সাব্বির রহমান ও মোহাদ্দেক হোসেন সৈকতকে নতুন করে একাদশে নিয়েছিল ঢাকা ক্যাপিটালস। ব্যাপক রদবদল এনেও কোনো লাভ হলো না শাকিব খানের দলের। চলতি বিপিএলে রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে ১৫১ রান করেও ৪০ রানে হেরেছিল ঢাকা। গতকাল মঙ্গলবার সেই রংপুরের বিপক্ষেই ১৬.৩ ওভার ব্যাট করে ঢাকা গুটিয়ে গেছে মাত্র ১১১ রানে। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ঢাকার হয়ে বড় ইনিংস খেলতে পারেনি কেউ।

সর্বোচ্চ ইনিংসটি ২০ রানের। তানজিদ হাসান তামিমের। যদিও শুরুটা বেশ ভালই করেছিল ঢাকা। কিন্তু ২৮ রানে ফিরেন হাবিবুর রহমান সোহান। তিনি করেন ১২ বলে ১৪ রান। আগের দিন ঢাকার দলে যোগ দেওয়া ইংলিশ ব্যাটার জেসন রয় করেছেন ১২ বলে ১৮ রান। কয়েক বল নষ্ট করা ছাড়া কিছুই করতে পারেননি সাব্বির রহমান। ৭ বলে ২ রান করে ফিরেছেন একাদশে ফেরা সাব্বির। যার উপর বেশি ভরসা ছিল সেই অধিনায়ক থসারা পেরেরা প্রথম বলেই বোল্ড হয়ে গেছেন । আর বরাবরের মতই ব্যর্থ লিটন দাস। নতুন বলে খেলতে পারেন না বলে গতকাল খেলতে নেমেছিলেন চার নম্বরে। ব্যাটিংঅর্ডার পরিব্‌র্তন করেও কোনা লাভ হলো না। ১৩ বলে ৯ রান করে নাহিদ রানার বলে ক্যাচ হন আজিজুল হাকিম তামিমের হাতে। একাদশে নতুন করে যুক্ত হওয়া সৈকত থেমে গেছেন ৯ বলে ১২ রান করে। শেষ দিকে আলাউদ্দিন বাবুর ১৬ বলে ১৬ রানের ইনিংসের উপর ভর করে ১০০ পার করে ঢাকা। ৫ বলে ১ রানে মোস্তাফিজুর রহমান আউট হলে শেষ হয় ঢাকার ইনিংস। রংপুরের হয়ে বল হাতে ২১ রানে ৩ উইকেট শিকার করেন পেসার নাহিদ রানা। ২টি করে উইকেট শিকার করেন আকিফ জাভেদ ও খুশদিল শাহ। ১১২ রানের সহজ লক্ষ্য। যদিও সে রান তাড়া করতে নেমে ১৭ রানে হারায় ওপেনার আজিজুল হাকিমকে। ১৪ বলে ৫ রান করে ফিরলেন তিনি। তবে আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান অ্যালেক্স হেলস আরও একবার ঝড় তুলেছেন। ২৭ বলে ৪ বাউন্ডারি আর ৩ ছক্কায় ৪৪ রান করেন তিনি।

সাইফ হাসান ১৫ বলে ১৩ রানের ধীর ইনিংস খেলে ফেরেন। এরপর দ্রুতই ম্যাচ শেষ করে দেন খুশদিল শাহ। ১৩ বলে ৪ বাউন্ডারি আর ১ ছক্কায় ২৭ রানে অপরাজিত থেকে বিজয়ীর বেশে মাঠ ছাড়েন পাকিস্তানি অলরাউন্ডার। সঙ্গে আরেক পাকিস্তানি ইফতিখার আহমেদ অপরাজিত ছিলেন ১২ বলে ৯ রানে। মোস্তাফিজুর রহমান ৪ ওভারে ২৩ রান দিয়ে শিকার করেন একটি উইকেট। ম্যাচ সেরা হয়েছে রংপুর রাইডার্সের পেসার নাহিদ রানা।

পূর্ববর্তী নিবন্ধইয়ং টাইগার্স অনূর্ধ্ব-১৪ ক্রিকেট কুমিল্লাকে হারিয়ে ফাইনালে চট্টগ্রাম
পরবর্তী নিবন্ধজুলাই অভ্যুত্থান নিয়ে ৮ চলচ্চিত্র,পরিচালকদের নাম ঘোষণা