রংধনু গ্রুপের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম এবং তার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ৮৭৮ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে মামলা করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ–সিআইডি। সেই সঙ্গে তাদের ১৩টি ব্যাংক হিসাব এবং যমুনা ফিউচার পার্কের এক লাখ বর্গফুট কমার্শিয়াল স্পেস আদালতের আদেশে ক্রোক করার কথা গতকাল বৃহস্পতিবার সিআইডির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। সেখানে বলা হয়, রফিকুল ইসলাম এবং তার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের অধীনে তদন্ত চালানো হয়। অনুসন্ধানে জানা যায়, রংধনু বিল্ডার্স প্রাইভেট লিমিটেড বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে জমি কিনে বা পাওয়ার অব অ্যাটর্নি গ্রহণ করে তা বিক্রি করত। এমনই এক ঘটনায়, ২০২২ সালের ৮ মার্চ রফিকুল ইসলামের ছেলে কাউসার আহমেদ অপু এবং মেহেদী হাসান দিপু বাংলাদেশ পুলিশ অফিসার্স বহুমুখী সমবায় সমিতির কাছে ৭.৫৭৫১ একর জমি বিক্রি করেন। পরে একই জমির ৬.৩৩৭৫ একর অংশ ২০২২ সালের ১ জুন ইস্ট ওয়েস্ট প্রোপার্টি লিমিটেডের (বসুন্ধরা গ্রুপ) কাছে পুনরায় বিক্রি করে প্রতারণামূলকভাবে ৫ কোটি ৭৩ লাখ ৬০ লাখ টাকা অর্জন করে তারা। খবর বিডিনিউজের।
এছাড়া পুলিশ অফিসার্স বহুমুখী সমবায় সমিতিতে বালি ভরাটের ভুয়া কার্যাদেশ দেখিয়ে ফাস্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক থেকে ২৭০ কোটি এবং ইউনিয়ন ব্যাংক থেকে ২০০ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে তারা আত্মসাৎ করেন এবং ভুয়া মূল্যায়ন প্রতিবেদন দেখিয়ে ইসলামী ব্যাংকের বারিধারা শাখা থেকে ৪০০ কোটি টাকা ঋণ নেন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে। সিআইডি বলছে, রফিকুল ইসলাম বিভিন্ন ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে সেই টাকা পরিশোধ না করে অর্থ পাচারের মাধ্যমে ২০ লাখ ডলার বিনিয়োগ করে ক্যারাবিয়ান দ্বীপদেশ অ্যান্টিগা অ্যান্ড বারবুডার নাগরিকত্ব নেন। এসব অভিযোগ গুলশান থানায় মামলা করার পাশাপাশি রফিক ও তার পরিবারের ১৩টি ব্যাংক হিসাবের প্রায় ১৭ কোটি টাকা এবং যমুনা ফিউচার পার্কে এক লাখ বর্গফুট কমার্শিয়াল স্পেস আদালতের আদেশে জব্দ করার কথাও বলা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর গতবছর অক্টোবরে রংধনু গ্রুপের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলামের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল আদালত। তার বিরুদ্ধে ২৭০ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে আত্মসাতের অভিযোগ অনুসন্ধান শুরুর কথা বলেছিল দুদক।