যৌথবাহিনীর অভিযানে অস্ত্র ও মাদক উদ্ধার

লুট হওয়া অস্ত্রের তথ্য দিয়ে পুলিশকে সহযোগিতার আহ্বান

আজাদী প্রতিবেদন | বৃহস্পতিবার , ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ at ৬:১০ পূর্বাহ্ণ

অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের লক্ষ্যে পরিচালিত যৌথবাহিনীর অভিযান অব্যাহত রয়েছে। গত মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে শুরু হওয়া অভিযানে বিভিন্ন স্থান থেকে কিছু অস্ত্র, মাদক উদ্ধার করা হয়েছে। অপরদিকে ছাত্রজনতার আন্দোলনের মুখে সরকার পতনের পরে চট্টগ্রামের বিভিন্ন থানায় আক্রমণ চালিয়ে লুটপাট করা অন্তত দুইশ’ অস্ত্রের কোন খোঁজ এখনো মিলেনি। চলমান যৌথ অভিযানে এসব অস্ত্র উদ্ধার অন্যতম টার্গেট বলেও সূত্র জানিয়েছে। গণআন্দোলনে সরকার পতনের পর গত ৫ অগাস্ট দেশের বিভিন্ন জায়গার মত চট্টগ্রামেও পুলিশের বিভিন্ন স্থাপনাতে হামলা হয়। আগুন দেওয়া হয় কোতোয়ালী, পাহাড়তলী, পতেঙ্গা ও ইপিজেড থানায়। লুটপাট করা হয় অস্ত্র ও মালখানা।

সিএমপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, নগরীর ১৬টি থানার মধ্যে ছয়টি থানার অস্ত্র লুট হয়। থানাগুলোর নথিপত্র জ্বালিয়ে দেওয়ায় সেখান থেকে কোনো তথ্য সংগ্রহ করা যায়নি। কেন্দ্রীয় অস্ত্রাগারের হিসাবে ছয়টি থানার বিভিন্ন ধরনের মোট ৮১৫টি অস্ত্র লুটের তথ্য পাওয়া গেছে জানিয়ে সিএমপির দায়িত্বশীল একজন কর্মকর্তা বলেন, এর মধ্যে বিভিন্ন সময়ে ৬১৭টি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। এসব অস্ত্র বিভিন্ন ব্যক্তিরা এসে ফেরত দিয়েছেন। র‌্যাব ও পুলিশও কিছু অস্ত্র উদ্ধার করেছে। বাকি অস্ত্রগুলোর কোন হদিস পাওয়া যাচ্ছে না। এসব অস্ত্রগুলি ফেরত দিতে ৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছিল সরকার।

খোয়া যাওয়া ও লুট হওয়া এবং অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে সারা দেশের মত চট্টগ্রামেও অভিযান শুরু করেছে যৌথবাহিনী।

সিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস্‌) আবদুল মান্নান মিয়া গতরাতে দৈনিক আজাদীকে জানান, যৌথবাহিনীর অভিযান অব্যাহত রয়েছে। আমরা এখনো উদ্ধারকৃত সবকিছুর হিসেব নিইনি। অভিযান ভালোভাবেই চলছে। আমরা আশা করছি যে, এর মাধ্যমে অবৈধ অস্ত্র, মাদক ও সন্ত্রাস দমন সম্ভব হবে।

এদিকে লুট হওয়া অস্ত্রের তথ্য দিয়ে পুলিশকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানিয়ে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে চট্টগ্রাম পুলিশ। তথ্য দাতাদের পরিচয় গোপন রাখার কথা বলা হয়েছে এতে। লুট হওয়া অস্ত্রের সন্ধান পাওয়া গেলে জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯ এবং সিএমপির নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ০১৩২০০৫৭৯৯৮ নম্বরে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে পুলিশের তরফ থেকে। অথবা সরাসরি উপকমিশনার (অপারেশন) ০১৩২০০৫২০৩৫, উপকমিশনার (উত্তর) ০১৩২০০৫২৪০০, উপকমিশনার (দক্ষিণ) ০১৩২০০৫২৫৫০, উপকমিশনার (বন্দর) ০১৩২০০৫২৮৫০, গোয়েন্দা পুলিশের উপকমিশনার (উত্তরদক্ষিণ) ০১৩২০০৫৪০৮০, উপকমিশনারের (বন্দরপশ্চিম) ০১৩২০০৫৪১৬০ নম্বরে সরাসরি যোগাযোগ করতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপাহাড় কাটায় সীতাকুণ্ডে মীর ব্রিকসকে দুই লাখ টাকা জরিমানা
পরবর্তী নিবন্ধসারা দেশে ‘শহীদি মার্চ’ করবে বৈষম্যবিরোধী সংগঠন