যৌতুক, মাদক, নারী ও শিশু নিপীড়ন থামাতে বলিষ্ঠ পদক্ষেপ এবং যৌতুক–মাদকের বিরুদ্ধে যুবকদের শপথ গ্রহণের মধ্য দিয়ে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে ‘যৌতুক ও মাদকমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠাই আমাদের করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভা, গুণীজন সংবর্ধনা ও র্যালি গতকাল শনিবার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রজভীয়া নুরীয়া কমিটি বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় পরিষদের উদ্যোগে ১৬তম অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় উদ্বোধক ছিলেন আন্জুমানে রজভীয়া নূরীয়া ট্রাস্টের সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট আব্দুর রশিদ দৌলতী। প্রধান অতিথি ছিলেন অন্তর্র্বর্তীকালীন সরকারের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা ফারুক–ই–আজম (বীর প্রতীক)।
তিনি বলেন, অন্তর্র্বর্তীকালীন সরকার একার পক্ষে সবকিছু সামাল দেয়া সম্ভব নয়। এক্ষেত্রে জনগণেরও অনেক করণীয় আছে। অথচ আমরা সে দায়িত্ব পালন করি না। অন্তর্র্বর্তীকালীন সরকার সবকিছু করে দেবে এ মানসিকতা থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। দেশের শীর্ষস্থানীয় আলেমে দ্বীন আল্লামা আবুল কাশেম নূরী গরিব মানুষের প্রতি মমত্ববোধ ও দ্বীনি দায়িত্ববোধ থেকে আজ যৌতুক, মাদক ও নারী নিপীড়ন বিরোধী যে আলোচনা সভা ডেকেছেন তা দেখে আমরা অনুপ্রাণিত হই।
প্রধান বক্তা ছিলেন আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআত বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় মহাসচিব আল্লামা আবুল কাশেম নূরী (মু.জি.আ)। তিনি বলেন, যৌতুক, মাদক ও নারীর প্রতি নিত্য অবমাননা আজ বড় সামাজিক ব্যাধি হয়ে দাঁড়িয়েছে। তা দেখে আমরা নিশ্চুপ থাকতে পারি না। সামাজিক দায়বদ্ধতা, ঈমানি তাড়না ও মানবিক কর্তব্যবোধ থেকেই আমি ১৬ বছর পূর্বে এ আন্দোলন শুরু করেছি। সবাই আমার পাশে দাঁড়ালে আশানুরূপ সুফল মিলবে বলে আশা করি। আলোচক ছিলেন অধ্যক্ষ আল্লামা জয়নুল আবেদীন জুবাইর (মু.জি.আ)। সংবর্ধেয় অতিথি ছিলেন জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলিয়ার সাবেক সিনিয়র মুদাররিস ও সুন্নী নূরানী বোর্ডের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান আল্লামা আবুল আসাদ মুহাম্মদ জেবাইর (মু.জি.আ)। প্রস্তুতি কমিটির সদস্য সচিব মুহাম্মদ জাকারিয়া, মুহাম্মদ মিনহাজ উদ্দিন সিদ্দিকী এবং মুহাম্মদ আয়ুব তাহেরীর যৌথ সঞ্চালনায় অর্ন্তর্বতীকালীন সরকারকে ১৫ দাবি পেশ করেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় মহাসচিব সংগঠক মুহাম্মদ মাছুমুর রশিদ কাদেরী। স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রস্তুতি কমিটির আহবায়ক জাহিদুল হাসান রুবায়েত।
সংগঠনের কেন্দ্রীয় চেয়ারম্যান মাহমুদুল হক রাজিবের সভাপতিত্বে অতিথি ছিলেন অধ্যক্ষ আল্লামা আহমদ হোসাইন কাদেরী, অধ্যক্ষ আল্লামা আবুল ফরাহ মুহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন, সৈয়দ মাওলানা মুহাম্মদ জুন্নুরাঈন, মাদকদ্রব্য ও নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপ–পরিচালক হোমায়ুন কবির খন্দকার, আহাদ সৈয়দ করিম, জহির সওদাগর, শাহজাদা কাযী মুহাম্মদ আবুল ফোরকান হাশেমী, মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, অধ্যক্ষ আল্লামা হাসান রেযা, উপাধ্যক্ষ আল্লামা ইউনুচ রেজভী, খোরশেদ আলম রজায়ী, মাওলানা করিম উদ্দিন নূরী, বীর মুক্তিযোদ্ধা মুহাম্মদ ফজল বারিক, মাষ্টার হুমায়ুন, এ্যাডভোকেট ছলিম উদ্দিন খান, মাওলানা আবুল হাশেম, আল্লামা ইকবাল হোসাইন কাদেরী, আল্লামা হাসান আযহারী, মাওলানা সোহাইল উদ্দিন আনসারী, মাওলানা আব্দুল আজিজ রজভী, কাযী মাওলানা শফিউল আজম, মাওলানা ওমর ফারুক নঈমী, তোফাজ্জল হোসাইন, জোবাইরুল আলম মানিক প্রমুখ। শেষে পীরে তরিক্বত আল্লামা আবুল কাশেম নূরীর নেতৃত্বে যৌতুক–মাদকবিরোধী র্যালী চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব হতে চেরাগী পাহাড় চত্বরে এসে সমাপ্ত হয়। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।