যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প মন্ত্রিসভার বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পদে অভিজ্ঞতা যাচাই না করেই কেবল তার অনুগতদের নিয়োগ দিচ্ছেন। এ সিদ্ধান্তের কারণে ট্রাম্পের বেশ কিছু মিত্র হতবাক, তুলছেন পক্ষপাতিত্বের প্রশ্ন। খবর বিডিনিউজের।
তবে তার বাছাই পক্রিয়া স্পষ্ট করে দিয়েছে, তিনি আমেরিকার প্রতিষ্ঠানগুলোকে তার নিজের মত করে নতুনভাবে সাজানোর ওপর গুরুত্ব দিচ্ছেন। যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে ৪২ বছর বয়সী কংগ্রেস সদস্য ম্যাট গেটজকে বেছে নিয়ে অনেককেই অবাক করেছেন ট্রাম্প। কারণ, গেটজের কখনও বিচার বিভাগে কাজ করা বা কৌঁসুলি হিসাবে কাজ করার অভিজ্ঞতা নেই। তাছাড়া, তার বিরুদ্ধে যৌনকর্মী পাচারের অভিযোগে বিচার বিভাগ তদন্ত করেছিল। তবে শেষ পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে ফৌজদারি অপরাধের অভিযোগ আনা হয়নি। গেটজ যৌন অসদাচরণ, অবৈধ মাদক ব্যবহার সহ বেশ কয়েকটি অভিযোগের জন্য হাউস এথিঙ কমিটির তদন্তের মুখোমুখিও হয়েছিলেন। হাওয়াইয়ের সাবেক ডেমোক্র্যাট কংগ্রেসওম্যান এবং পরে ট্রাম্পের সমর্থক হওয়া তুলসী গ্যাবার্ডকে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার পরবর্তী প্রধান হিসেবে বেছে নিয়েছেন ডনাল্ড ট্রাম্প। গ্যাবার্ড একজন ইউএস আর্মি রিজার্ভ কর্মকর্তা। তার গোয়েন্দা বিষয়ক গভীর অভিজ্ঞতা না থাকলেও তিনি মস্কোর প্রতি তার সহানুভূতিশীল দৃষ্টিভঙ্গির জন্য পরিচিত। ইউক্রেন যুদ্ধে তিনি রাশিয়ার পক্ষ সমর্থনেরই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। এক বিবৃতিতে ট্রাম্প বলেন, আমি জানি তুলসী সেই নির্ভীক মনোভাব নিয়ে আসবেন, আমাদের সাংবিধানিক অধিকারের রক্ষক হবেন এবং শক্তির মাধ্যমে শান্তি নিশ্চিত করবেন।