যোগাযোগের নতুন পর্বে দেশ

মেট্রোরেল উদ্বোধন করে প্রধানমন্ত্রী বললেন, উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রার মুকুটে যুক্ত হল আরেক পালক

আজাদী ডেস্ক | বৃহস্পতিবার , ২৯ ডিসেম্বর, ২০২২ at ৪:১৪ পূর্বাহ্ণ

উচ্ছ্বাস আর প্রত্যয়ী ঘোষণার মধ্য দিয়ে নগর যোগাযোগের মেট্রোরেল পর্বে যাত্রা করেছে বাংলাদেশ; যানজটের নগরীতে ঠিক সময়ে ও নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছানোর আশা দেখাচ্ছে আধুনিক এই গণপরিবহন। গতকাল বুধবার বর্ণিল আয়োজনে দেশের প্রথম মেট্রোরেলের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা; পরে পতাকা নাড়িয়ে ট্রেন চালু করে দিয়ে টিকেট কেটে যাত্রী হয়ে তিনি গন্তব্যেও গিয়েছেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সরকারপ্রধান বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রায় আরেকটি পালক, আজ বাংলাদেশ তথা ঢাকায় আমরা দিতে পারলাম, সংযোজিত করতে পারলাম। এটাই হচ্ছে সবচেয়ে বড় কথা। জাপানের আর্থিক ও কারিগরি সহযোগিতায় উত্তরার দিয়াবাড়ি থেকে কমলাপুর পর্যন্ত ২১ দশমিক ২৬ কিলোমিটার মেট্রোরেল নির্মাণের এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে সরকার। নির্মাণকাজ চলার মধ্যে প্রথম দফায় উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত মেট্রোরেল উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী। বৃহস্পতিবার (আজ) থেকে ১১ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার দীর্ঘ এই পথে বৈদ্যুতিক ট্রেনে চলাচল করতে পারবে সাধারণ যাত্রীরাও। উদ্বোধন ঘিরে এদিন উৎসবমুখর পরিবেশে সাজানো হয় ঢাকার বিভিন্ন এলাকা। উত্তরা১৫ সেক্টরের দিয়াবাড়ি মাঠে সুধী সমাবেশে মিলিত হন বিপুল সংখ্যক মানুষ। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান দেখতে গাজীপুরের চন্দ্রা থেকে এসেছেন টেইলার্স দোকানি মোহাম্মদ আরাফাত। তিনি বলেন, মেট্রোরেল তো উদ্বোধনের পরেও দেখা যাবে, আমি এসেছি ইতিহাসের অংশ হতে। এটা আমাদের জন্য গর্বের, শুধু শুনেছি বিদেশে মেট্রো রেল চলে আজকে আমাদের দেশেও চালু হচ্ছে এটা দেখতেই এসেছি। ময়মনসিংহের ত্রিশাল থেকে ভোরে এসে সুধী সমাবেশে যোগ দেন আওয়ামী লীগ কর্মী সরাফাত আলী। তিনি বলেন, মেট্রোরেল আমাদের অহংকার, এটা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আমাদের নেত্রী উদ্বোধন করবেন, এটাই দেখতে আসছি। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক পাঠাগার সম্পাদক সৈয়দ ইমাম বাকেরও উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। তার ভাষায়, মেট্রোরেল হবে তরুণ প্রজন্মের অহঙ্কার। বাংলাদেশ আজকে উন্নত বিশ্বের কাতারা, ঢাকার মানুষের কর্মঘণ্টা বেঁচে যাবে। আজকের দেশরত্ন শেখ হাসিনার উন্নয়নের দিনটি মাইল ফলক হয়ে থাকবে। দিনটি উদযাপন করতে আমি এসেছি। নারায়ণগঞ্জ চাষাঢ়া থেকে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আসা রায়হান উদ্দিন বলেন, এমন একটা উন্নয়নকাজ উদ্বোধন হচ্ছে, দেখতে না এসে থাকতে পারলাম না। আগামীকাল আবার আসব মেট্রোরেলের চড়ার জন্য।

বুধবার বেলা ১১টায় দিয়াবাড়ি খেলার মাঠে তৈরি উদ্বোধনী মঞ্চে আসেন প্রধানমন্ত্রী। মেট্রোরেলের উদ্বোধনী ফলকের প্রতিরূপ উন্মোচন করে উদ্বোধনের আনুষ্ঠানিকতা সারেন। এরপর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ মিজানুর রহমান মোনাজাত করেন। পরে উদ্বোধনের বিভিন্ন আনুষ্ঠানিকতায় যোগ দেন শেখ হাসিনা। পুরো আয়োজনে তার সঙ্গে ছিলেন বঙ্গবন্ধুর ছোট মেয়ে শেখ রেহানা। দিয়াবাড়ির সুধী সমাবেশস্থলে মেট্রোরেলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সুধী সমাবেশের মঞ্চে শেখ রেহানা ছাড়াও সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, ঢাকা উত্তরের মেয়র আতিকুল ইসলাম, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি বেগম রওশন আরা মান্নান, স্থানীয় সংসদ সদস্য হাবীব আহসান, সচিব এ বি এম আমিনুল্লা নূরী, ডিএমসিটিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন ছিদ্দিক, ঢাকায় জাপানের নতুন রাষ্ট্রদূত কিমিনোরি ইওয়ামা ও জাইকার মুখ্য প্রতিনিধি ইচিগুচি তোমোহিদে এবং মেট্রোরেলের প্রকল্প পরিচালক আফতাব উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন। সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরীর স্বাগত বক্তব্যের পর ডিএমসিটিএলের এমডি এম এ এন ছিদ্দিক, জাইকা প্রতিনিধি ইচিগুচি তোমোহিদে ও জাপানি রাষ্ট্রদূত কিমিনোরি ইওয়ামা বক্তব্য দেন।

মেট্রোরেলের এরিয়াল ভিডিও দেখানোর পর বাজানো হয় থিম সং। ‘অর্থনীতির চাকা ঘুরবে পেছনে ফেলে যানজট’ শিরোনামে এ গানে কণ্ঠ দেন সংগীত শিল্পী সংসদ সদস্য মমতাজ বেগম। সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সভাপতির বক্তব্য দেওয়ার পর প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রী। বক্তৃতা পর্বের পর মেট্রোরেলের শুভেচ্ছা স্মারক প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেন ওবায়দুল কাদের। এরপর মেট্রোরেলের কাজে জড়িতদের সঙ্গে দলীয় ছবি তোলেন সরকারপ্রধান। উন্মোচন করেন স্মারক ডাকটিকেট ও স্মারক নোট প্রধানমন্ত্রী।

দেশের প্রথম মেট্রোরেল চালুর মাধ্যমে দুর্বার গতিতে দেশকে এগিয়ে নেওয়ার প্রত্যাশা ব্যক্ত করে উন্নত স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বক্তৃতায় মেট্রোরেলের পথ ধরে আসন্ন সুযোগসুবিধার কথা তুলে ধরার পাশাপাশি সরকারের উন্নয়ন পরিকল্পনার নানা দিক তিনি তুলে ধরেন। মেট্রোরেলের সুবিধা নেওয়ার সঙ্গে উন্নত প্রযুক্তিসম্পন্ন এই বাহন ব্যবহারের ক্ষেত্রে নাগরিকদের দায়বদ্ধতার বিষয়ও স্মরণ করিয়ে দেন সরকারপ্রধান। পরিষ্কারপরিচ্ছন্নতা, রক্ষণাবেক্ষণে সচেতনতা ও নিয়ম মেনে চলার অনুরোধ জানান সবাইকে।

শেখ হাসিনা বলেন, নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু করে বাংলাদেশ এবং বাঙালি জাতি সারা বিশ্বে মর্যাদা পেয়েছে। আমরা আজকে আরেকটি নতুন অহঙ্কারের পালক বাংলাদেশের মুকুটে সংযোজিত করলাম। মেট্রোরেলের মাধ্যমে নতুন মাইলফলকে যাওয়ার পাশাপাশি আরও তিনটি নতুন অর্জন হওয়ার কথা অনুষ্ঠানে তুলে ধরেন সরকারপ্রধান। মেট্রোরেলের উদ্বোধন উপলক্ষে বুধবার দিয়াবাড়ির সুধী সমাবেশস্থলে একটি স্মারক ডাকটিকেট অবমুক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, এই প্রথম বাংলাদেশ বৈদ্যুতিক ট্রেনের যুগে প্রবেশ করল। মেট্রোরেল দূরনিয়ন্ত্রিত পদ্ধতিতে পরিচালিত হবে, ডিজিটাল পদ্ধতিতে এটাকে পরিচালনা করা হবে। তার ফলে আমরা যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার ঘোষণা দিয়েছি, এটা সেখানে নতুন মাত্রা সংযুক্ত হল।

ঢাকাকে যানজটমুক্ত করার লক্ষ্য নিয়ে ২০৩০ সালের মধ্যে ঢাকায় মেট্রো নেটওয়ার্ক নির্মাণের কাজ শেষ করার আশা প্রকাশ করেন তিনি। মোট ছয়টি লাইনের এই মেট্রো নেটওয়ার্ক দিয়ে পুরা শহরের মানুষকে সেবা দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে সরকার। প্রধানমন্ত্রী বলেন, মেট্রোরেল চালু করার আমাদের যে সম্পূর্ণ পরিকল্পনা, তা চালু হওয়ার সাথে সাথে আমাদের দেশের মানুষের কর্মক্ষমতা বাড়বে, যোগ্যতা বাড়বে, কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়বে আর আমাদের জিডিপিতেও যথেষ্ট অবদান রাখবে। ঢাকা আসার পর দেশবাসীও মেট্রোরেলের সুবিধা পাবে মন্তব্য করে তিনি বলেন, কমলাপুরে নেমে উত্তরা পর্যন্ত যেতে আর যানজটে পড়তে হবে না। এভাবে যানজট নিরসন হবে।

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ‘হবে জয়’ কবিতার চরণ উদ্ধৃত করে সরকারপ্রধান বলেন, অসম সাহসে আমরা অসীম, সম্ভাবনার পথে ছুটিয়া চলেছি, সময় কোথায় পিছে চাব কোন মতে! কবি নজরুল ইসলামের কবিতাংশের সঙ্গে যুক্ত করে বাংলা সাহিত্যের ছাত্রী শেখ হাসিনা বলেন, এগিয়ে যাব আমরা দুর্বার গতিতে, এগিয়ে যাবে বাঙালি দুর্বার গতিতে। গড়ে তুলব সকল বাধা অতিক্রম করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের ক্ষুধা, দারিদ্র্যমুক্ত, উন্নত, সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলব।

জনগণকে নিয়ম মেনে পরিচ্ছন্নভাবে মেট্রোরেল ব্যবহারের অনুরোধ জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, একটা অনুরোধ থাকবে, অনেক টাকা খরচ করে এই মেট্রোরেল করা হয়েছে। এটাকে সংরক্ষণ করা, এটার মান নিশ্চিত রাখা, পরিষ্কারপরিচ্ছন্ন রাখাএই সবকিছু কিন্তু যারা ব্যবহার করবেন তাদের দায়িত্ব। এখানে অনেক আধুনিক প্রযুক্তিসম্পন্ন যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হয়েছে, ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার হয়েছে। এই সমস্ত জিনিস যেন নষ্ট না হয়। ব্যবহারের ক্ষেত্রে সকলে যত্নবান হবেন। খেয়াল রাখবেন কেউ যেন আমাদের রেল স্টেশনগুলিতে আবর্জনাময়লা না ফেলে, অপরিচ্ছন্ন করতে না পারেসবাইকে এ ব্যাপারে সচেতন হতে হবে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের বক্তৃতায় গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলায় নিহত সাত জাপানি নাগরিককেও স্মরণ করেন প্রধানমন্ত্রীসহ প্রায় সব বক্তা। ২০১৬ সালের ১ জুলাইয়ের ওই ঘটনার পর মেট্রোরেলের কাজ পুনরায় চালু করার পেছনে জাপানের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে’র যে ভূমিকা, তাও স্মরণ করেন শেখ হাসিনা। ওই হামলায় নিহত সাত জাপানি নাগরিকের মধ্যে ৬ জন ঢাকায় নতুন দুই মেট্রোরেল লাইন নির্মাণের সমীক্ষায় জড়িত ছিলেন। জাপানি নাগরিকদের স্মরণে দিয়াবাড়িতে স্মৃতিফলক নির্মাণের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, তাদের নামটা যেন স্মরণে থাকে, আমরা সেই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

ঢাকার মেট্রোরেল নির্মাণ কাজের উদ্বোধনের কিছুদিন পর ২০১৬ সালের ১ জুলাই গুলশানের হলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলা হয়। মোট ১৭ বিদেশি নাগরিকসহ ২২ জনকে সেদিন নির্মমভাবে হত্যা করেছিল জঙ্গিরা। দুই নারীসহ সাত জাপানি নাগরিক ছিলেন তাদের মধ্যে। চলতি বছরের জুলাইয়ে উত্তরার দিয়াবাড়িতে মেট্রো রেল ডিপোতে নিহতদের স্মরণে একটি স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করেছে সরকার। তাদের প্রাণক্ষয়ের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, আমি তাদের আত্মার শান্তি কামনা করি ও তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। ঢাকায় টোকিওর প্রতিনিধি, রাষ্ট্রদূত কিমিনোরি ইওয়ামাও তার দেশের বিশেষজ্ঞদের স্মৃতি ধরে রাখার ওপর জোর দেন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে।

জাপানি নাগরিকদের ত্যাগকে স্মরণ ও তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর জন্য সপ্তাহখানেক আগে হলি আর্টিজান বেকারির স্থানটি পরিদর্শনে যাওয়ার কথা এ সময় বলেন তিনি। মাত্র ১০ দিন ঢাকা মিশনে যোগ দেওয়া কিমিনোরি ইওয়ামা বলেন, এই মর্মান্তিক ঘটনা ও তাদের আত্মোৎসর্গ যেন আমরা কোনোভাবে না ভুলি। আমরা সামনে এগিয়ে যাব এবং দুঃখ কাটিয়ে উঠে আর প্রকল্পটি সম্পন্ন করার মাধ্যমে আমাদের দায়িত্ব পালন করব। জাপানি বিশেষজ্ঞদের প্রাণক্ষয়ের পথ ধরে মেট্রোরেল প্রকল্প এগিয়ে যাওয়ার কথা স্মরণ করেন ঢাকায় জাইকার মুখ্য প্রতিনিধি ইচিগুচি তোমোহিদেও।

উত্তরার দিয়াবাড়ি থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত অংশের উদ্বোধনের প্রস্তুতির মধ্যে মেট্রোরেল নির্মাণ তদারকি ও পরিচালনার দায়িত্ব থাকা ডিএমটিসিএল জানিয়েছে, আগামী বছরের ডিসেম্বরে চালু করা হবে আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত অংশও। দেশের প্রথম মেট্রোরেল উদ্বোধন করে বুধবারের সুধী সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমরা নির্বাচনী ইশতেহারে ঘোষণা দিয়েছিলাম, ঢাকার যানজটমুক্ত করার জন্য বিভিন্ন রকমের পদক্ষেপ নেব। এবং পাশ্ববর্তী এলাকার সাথে এটার সংযোগ স্থাপন করব। আমরা ৬টি মেট্রোরেল করার পরিকল্পনা নিয়েছি, যা ২০৩০ সালের মধ্যে সম্পন্ন হবে বলে আমি আশা করি। চারটি মেট্রোরেল নির্মাণ বিভিন্ন পর্যায়ে বাস্তবায়নাধীন। আরও দুটি মেট্রোরেল নির্মাণের জন্য সম্ভাব্যতা যাচাই করা হচ্ছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধমেট্রোরেলের প্রথম যাত্রার চালক আফিজা যা বললেন
পরবর্তী নিবন্ধলালখান বাজারে নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে শ্রমিকের মৃত্যু