রাস্তা নয় যেন জমির জোড়া জোড়া আলপথ বা মাড়াই করা ক্ষেত। একটি সাইকেল ও চলার জো নেই। বৃষ্টি হলেই হেঁটে চলার ও উপায় থাকে না। চট্টগ্রাম জেলার সর্ব উত্তর পশ্চিম জনপদ দৃষ্টিনন্দন মুহুরী প্রকল্প এলাকার সেচ প্রকল্প নিকটবর্তি স্থান থেকে সীতাকুণ্ড অবধি গড়ে উঠছে বঙ্গবন্ধু শিল্পনগর। আর এই শিল্পনগরের সাথে ফেনী অংশের সোনাগাজির এলাকার জনপদ সহ বিস্তীর্ণ এলাকার সহজ পথ অর্থনৈতিক জোন টু মুহুরী প্রকল্প বেড়িবাঁধ সড়ক। এই সড়কটি কমপক্ষে ৫ কিলোমিটার দীর্ঘ। কিন্তু এই সড়কটি যানবাহন তো দূরে থাক মানুষ হেঁটে চলাচলেরও উপযোগী নেই।
অর্থনৈতিক জোন থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম অংশের কাজ বেশ ভালোভাবে সম্পন্ন হলে ও টেকেরহাট সড়ক আর এই সড়কটি অবহেলিত দীর্ঘদিন ধরেই। একদিকে কিছু অংশে নদীর ভাঙন ইছাখালি মৌজার সড়কের কাছে চলে আসায় কিছু অংশে চলে যেতে পারে নদীগর্ভে। অপরদিকে বছরের পর বছর পাকা ও না হওয়া, আবার সংস্কারবিহীন থাকায় প্রতিদিন দুর্ভোগ পোহাচ্ছে সাধারণ চলাচলকারী সহ এলাকার সহস্রা প্রায় মৎস্যচাষীরাও।
সরেজমিনে গেলে রাস্তাটি দিয়ে পায়ে হেঁটে চলা পথচারি মৎস্য চাষি নিজাম উদ্দিন জানান, সোনাগাজির অনেক মানুষ অর্থনৈতিক জোন থেকে এই বিকল্পহীন পথ দিয়েই চলাচল করতে হয়। এই পথ ওরা পায়ে হেটে যাওয়া ছাড়া উপায় নেই। রাস্তায় সরু সরু এতো গর্ত সৃষ্টি হয়েছে যে সিএনজি, পিকআপ তো দূরে থাক রিকশা সাইকেলও চলতে পারে না। সেদিন একটি ফোর হুইল পিকআপ মাল নিতে গিয়ে কিছুদূর গিয়ে কাত হয়ে পড়ে যায়। কয়েকদিন ধরে এটি উদ্ধার ও করতে পারছে না।
আবার জনৈক মো. হানিফ ও ইমামুল কবির বলেন, রাস্তাটি উন্নয়নের পাশাপাশি নদীতে গোয়িং অথবা নদীর গতি সংস্কার না করলে রাস্তাটির জন্য ঝুঁকি রয়েছে।
এই বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব জসিম উদ্দিন বলেন, আমি ঘটনাস্থলে সরেজমিনে দেখেছি। রাস্তাটির উন্নয়ন প্রয়োজন।
পাউবো কর্মকর্তাদের এই বিষয়ে অনুরোধ করেছি উনারা এই বিষয়ে উদ্যোগ নেবে বলেও জানিয়েছেন এই বিষয়ে পাউবোর চট্টগ্রামের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু বকর সিদ্দীক বলেন, রাস্তাটির বিষয়ে শীঘ্রই একটি টিম পাঠানো হবে এবং কার্যকর উদ্যোগ নেয়া হবে।












