যে পুকুরপাড়ে রচিত হয়েছিল ইতিহাস

আজাদী ডেস্ক | বুধবার , ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ at ৫:৫৮ পূর্বাহ্ণ

সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে ১৪৪ ধারা না ভাঙার সিদ্ধান্ত যখন সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ গ্রহণ করল, তখনই প্রমাণিত হলো যে তারা রাষ্ট্রীয় সরকার ব্যবস্থা নিয়েই বেশি চিন্তিত ছিল। সে কারণে মানুষের ইচ্ছা ও তাদের দাবির প্রতি নেতৃবৃন্দের চিন্তা কম ছিল। সে কারণেই সর্বদলীয় এ সিদ্ধান্ত কোনোভাবেই মেনে নেয়নি ছাত্ররা। তারা আগে থেকেই মনে মনে প্রস্তুত ছিল এ ১৪৪ ধারা অমান্য করে তাদের দাবির তীব্রতা প্রকাশের জন্য।
১৪৪ ধারা ভাঙার সিদ্ধান্ত তখন গ্রহণ করেছিল তিনটি পক্ষ। সাধারণ ছাত্ররা, যুবলীগের নেতাকর্মীরা এবং ছাত্র নেতাদের কয়েকজন, পৃথকভাবে দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে এসে। এ সিদ্ধান্ত ভাষা আন্দোলনের ইতিহাসেই শুধু নয়, বাঙালি জাতির যে কোনো আন্দোলন-সংগ্রামের জন্য প্রেরণাদায়ী ও গুরুত্বপূর্ণ। ২০ ফেব্রুয়ারির গভীর রাতে ফজলুল হক হল আর ঢাকা হলের (বর্তমানে শহীদুল্লাহ হল) মাঝখানের পুকুরপাড়ে রচিত হয়েছিল সে ইতিহাস। বাংলার যে কোনো আন্দোলনে এ বৈঠকের কথা বারবার উচ্চারিত হয়ে আসছে। সেখানে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, যে কোনো মূল্যেই হোক ১৪৪ ধারা ভাঙা হবে এবং তার জন্য কতগুলো কৌশল অবলম্বনের সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছিল। যেহেতু আওয়ামী মুসলিম লীগ ১৪৪ ধারা ভাঙার বিপক্ষে, পূর্ব পাকিস্তান মুসলিম ছাত্রলীগের কেউ বিশ্ববিদ্যালয়ের একুশে ফেব্রুয়ারির ছাত্রসভায় সভাপতিত্ব করলে তিনি ১৪৪ ধারা ভাঙার বিরুদ্ধে মত দিতে পারেন এবং তাতে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হতে পারে। তাই গাজীউল হককেই আমতলার সভায় সভাপতিত্ব করতে হবে। তিনি যদি সভার আগেই গ্রেপ্তার হয়ে যান এম আর আখতার মুকুল সভাপতিত্ব করবেন, তিনি গ্রেপ্তার হলে কমরুদ্দিন শহুদ সভাপতিত্ব করবেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকোর্ট হিলে নতুন শহীদ মিনার নির্মাণ
পরবর্তী নিবন্ধজেলায় ৪৬৪ পদ খালি নগরে অতিরিক্ত ১৭