চট্টগ্রাম কর্ণফুলী উপজেলার ১নং (খ) চরপাথরঘাটা ইউনিয়ন পরিষদের নিজস্ব জমিতে স্থানীয় সরকার বিভাগের অনুমতিক্রমে দৃষ্টিনন্দন ডিজাইনে পরিষদের নতুন ভবন নির্মাণ কাজ শুরু করেছিলেন। কিন্তু চার তলা ওই ভবন নির্মাণের কাজ হঠাৎ বন্ধ করে দিলেন ইউপি চেয়ারম্যান হাজী ছাবের আহমদ।
মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) সকালে উপজেলার চরপাথরঘাটা ইউনিয়নের পুরাতন ব্রিজঘাট এলাকায় পরিষদ নির্মাণ কাজে ব্যবহৃত সরঞ্জামাদি গাড়িতে তুলে নিয়ে যেতে দেখা যায়।
এ বিষয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লোকজন ও ভবন নির্মাণ কাজের মিস্ত্রিরাও জানান, চেয়ারম্যানের নির্দেশে ঘটনাস্থল থেকে তাঁরা কাজের জিনিসপত্র সরাতে বাধ্য হচ্ছেন।
ঘটনার সত্যতা জানতে চরপাথরঘাটা ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান হাজী ছাবের আহমদের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনিও কাজ বন্ধের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এ বিষয়ে মর্মপীড়িত সুরে চেয়ারম্যান বলেন, অনেক কষ্ট করে মন্ত্রণালয়ের অনুমতি নিয়ে চরপাথরঘাটাবাসীর জন্য নিজস্ব অর্থায়নে পরিষদ ভবন নির্মাণকাজ শুরু করেছিলাম। আপনারা দেখেছেন অনেকটা কাজ এগিয়ে গেছে। কিন্তু গতকাল একদল দুষ্কৃতিকারী ইছানগরে আমার অস্থায়ী পরিষদ কার্যালয়ে গিয়ে তালা ঝুঁলিয়ে দিয়েছেন। তাই আপাতত পরিষদের নির্মাণ কাজ বন্ধ থাকবে।
চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘এখন থেকে যেহেতু সরকারি ঘোষণা মতে জন্মনিবন্ধন দেবেন উপজেলা কর্মকর্তা। সুতরাং বাকি সেবামূলক কাজ নিয়ম মতে চালিয়ে যাবো। পাশাপাশি সচিবও সেবা দেবেন।’
এ প্রসঙ্গে কর্ণফুলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মাসুমা জান্নাতের কোন মন্তব্য জানা সম্ভব হয়নি। তবে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মো. সাদি উর রহিম জাদিদ (অতিরিক্ত দায়িত্ব) বলেন, ‘চেয়ারম্যান যদি কোন কারণে কাজ করতে না পারেন তবে সেক্ষেত্রে জনপ্রতিনিধি হিসেবে তিনি স্থানীয় ইউএনও’কে বিষয়টি লিখিত আকারে জানাবেন। ইউএনও জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে মতামত চেয়ে একটি চিঠি দেবেন। পরে কাজটি কিভাবে এগিয়ে নেওয়া যায়। সে বিষয়ে জেলা প্রশাসন নির্দেশনা দেবেন।’
তথ্য বলছে, গত বছরের ২৫ অক্টোবর স্থানীয় সরকার বিভাগের ইউপি-১ শাখার সিনিয়র সহকারি সচিব জেসমীন প্রধান স্বাক্ষরিত ১১০৬ নম্বর স্মারকের চিঠিতে চরপাথরঘাটা ইউনিয়নের নিজস্ব অর্থায়নে ভবন নির্মাণের অনুমতি প্রদান করা হয়।
একই চিঠিতে আরো বলা হয়, পরিষদের নিজস্ব অর্থায়নের পাশাপাশি এলাকাবাসীর অনুদানের মাধ্যমে ৪ তলা ভবন নির্মাণের জন্য চরপাথরঘাটা মৌজার বিএস ১৩১৬ নম্বর খতিয়ানের ৭৯ নং দাগে শূন্য দশমিক দশ একর জমিতে প্রশাসনিক ভবন নির্মাণের অনুমোদন দেওয়া হয়।