গেল বছরের আগস্টে দেশের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর বিসিবির নতুন সভাপতি হিসেবে যোগ দেন ফারুক আহমেদ। তবে বোর্ড সভাপতি হিসেবে মেয়াদ দীর্ঘ হয়নি সাবেক এই নির্বাচকের। চলতি বছরের মে মাসে তাকে সরিয়ে নতুন করে বিসিবির সভাপতি হয়েছেন আমিনুল ইসলাম বুলবুল। সমপ্রতি ‘ঠিকানায় খালেদ মহিউদ্দীন’ অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বিসিবি থেকে ফারুককে সরানোর ব্যাখ্যা দিয়েছেন। ক্রীড়া উপদেষ্টা বলেন, ‘ফারুক ভাইকে তো আমরাই ক্রিকেটে এনেছিলাম। ক্রিকেটের স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে কথা বলেই তাকে দায়িত্বটা দেওয়া হয়। এনএসসির কোটায় তাকে পরিচালক করা হয়েছিল, পরে তিনি বিসিবি সভাপতি নির্বাচিত হন। বোর্ডে আরও ৯ জন ডিরেক্টর আছেন। এর মাঝে ৮ জন মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ করেছেন যে, ফারুক আহমেদ স্বেচ্ছাচারিতা করছেন; গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন না এবং গত বিপিএল আয়োজন করতে গিয়ে কী হয়েছে সেটা আপনারা দেখেছেন।’ পরে আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘বিপিএল নিয়ে মন্ত্রণালয় থেকে একটা তথ্য অনুসন্ধান কমিটি করা হয়েছিল। সেই কমিটির রিপোর্ট তাকে সরানোর ক্ষেত্রে বড় নিয়ামক হিসেবে কাজ করেছে। মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছিল যে, রাজশাহী ও চট্টগ্রামের যে দল (ফ্র্যাঞ্চাইজি) দেওয়া হচ্ছে, তারা টিম পরিচালনার মতো দক্ষ নয়।
দিনশেষে সেটাই হয়েছে। তারা দেশি ও বিদেশি প্লেয়ারদের পারিশ্রমিক দিতে পারেনি। দেশে ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আমাদের মান ক্ষুণ্ন হয়েছে। এগুলোকে কি আপনি ব্যর্থতা বলবেন না?’ বাংলাদেশের ক্রিকেটের যে ক্রমাগত অবনতি এবং আমি দেখেছি যে, ক্রিকেটের চেয়ে কীভাবে পরবর্তী নির্বাচনে বিসিবি সভাপতি হয়ে আসা যায়, সেজন্য ক্লাব কীভাবে নেওয়া যায় (পক্ষে) এবং বিজনেসের দিকেই তার আগ্রহটা বেশি দেখা গেছে। সাবেক বিসিবি সভাপতির বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে ক্রীড়া উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের ক্রিকেটের যে ক্রমাগত অবনতি এবং আমি দেখেছি যে, ক্রিকেটের চেয়ে কীভাবে পরবর্তী নির্বাচনে বিসিবি সভাপতি হয়ে আসা যায়, সেজন্য ক্লাব কীভাবে নেওয়া যায় (পক্ষে) এবং বিজনেসের দিকেই তার আগ্রহটা বেশি দেখা গেছে। আমরা গঠনতন্ত্রের বাইরে কিছুই করিনি। মন্ত্রণালয় চাইলে এনএসসির মনোনয়ন উইথড্র করতে পারে। আমরা সেটাই করেছি এবং নতুন একজনকে মনোনয়ন দিয়েছি, যিনি এখন বিসিবি প্রেসিডেন্ট।’