অর্থ সাশ্রয়ের কথা বিবেচনা করে আজ হচ্ছে না বই উৎসব। সব বই ছাপানোর কাজ শেষ না হওয়ায় বছরের শুরুর দিন আজ সব শ্রেণির শিক্ষার্থীরা বই পাবে না। আজ প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির সব বই এবং চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের কমপক্ষে বাংলা, ইংরেজি ও গণিত বই দেওয়ার কথা রয়েছে।
আর ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণিরও বাংলা, ইংরেজি ও গণিত বই আংশিক দেওয়া হবে। এসব বই সারাদেশের মতো চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলায় পৌঁছে গেছে। নতুন বছরের প্রথম দিন আজ বইগুলো শিক্ষার্থীদের হাতে দেওয়া হবে। এবারে পাঠ্যবইগুলোর মধ্যে ৬৯১টি বই নতুন করে পরিমার্জন করা হয়েছে। এর মধ্যে ৪৪১টি বইয়ের পরিমার্জন সম্পন্ন করে পিডিএফ ভার্সনে রূপান্তর সম্পন্ন হয়েছে। এগুলো এনসিটিবি ওয়েবসাইটে আজ আপলোড করা হবে। এতে করে অনলাইনে বইগুলো পড়া যাবে। চট্টগ্রামে প্রাথমিকের ১০ লাখ ৩৯ হাজার ৬৫৪টি বই এসে পৌঁছেছে। প্রাথমিকে ৮ লাখ ৪৫ হাজার ২৫৮ জন শিক্ষার্থীর জন্য নতুন বইয়ের চাহিদা রয়েছে ৪০ লাখ ৬৬ হাজার ১৯৪টি। চট্টগ্রামে মাধ্যমিক, ইবতেদায়ি মিলে ১৬ লাখ ৮৬ হাজার ৯৯৪ জন শিক্ষার্থীর জন্য নতুন বইয়ের চাহিদা রয়েছে ২ কোটি ৪৪ লাখ ৩২ হাজার ৯৩টি। মাধ্যমিকের স্বল্প সংখ্যক বই এসেছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্টরা। জানা গেছে, আগামী ৫ জানুয়ারির মধ্যে চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির বাকি বই এবং দশম শ্রেণির বাকি বই শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছানোর চেষ্টা চলছে। আর ১০ জানুয়ারির মধ্যে মাধ্যমিকের আরও পাঁচটি বই এবং ২০ জানুয়ারির মধ্যে বাকি সব বই বিতরণের পরিকল্পনা রয়েছে।
জানা গেছে, আন্তর্জাতিক টেন্ডার বাদ দিয়ে নতুন করে টেন্ডার আহ্বান করার কারণে সময় নষ্ট হয়েছে। সে কারণে যথাযথ সময়ে বই ছাপার কাজ শুরু করা যায়নি। এছাড়া পাঠ্যবই পরিমার্জনের কারণে আরও এক দফা দেরি হয়।
সহকারী জেলা (চট্টগ্রাম) প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন আজাদীকে বলেন, প্রাথমিকে আমাদের চাহিদার বিপরীতে ১০ লাখ ৩৯ হাজার ৬৫৪টি বই এসে পৌঁছেছে। শীঘ্রই বাকি বই এসে পৌঁছাবে। আমরা চাচ্ছি বছরের প্রথম দিন প্রতিটি শিক্ষার্থীকে অন্তত একটি করে বই পৌঁছে দিতে।