যেসব দেশে মৃত্যু বাংলাদেশের চেয়ে বেশি

| শুক্রবার , ১৬ এপ্রিল, ২০২১ at ৬:৫৮ পূর্বাহ্ণ

এক বছর এক মাসে বাংলাদেশে কোভিড-১৯ মহামারীতে মৃত্যু ১০ হাজার ছাড়িয়েছে। মৃতের তালিকায় বিশ্বে এখন বাংলাদেশের অবস্থান ৩৮তম। বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে এখন দ্রুতগতিতে বাড়ছে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃত্যুর হার। এমন মৃত্যু আর সংক্রমণে উদ্বেগ জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। রয়টার্সের পরিসংখ্যান বলছে, বিশ্বে কোভিড-১৯ সংক্রমণের ১১ শতাংশই ভারত, বাংলাদেশ, ভুটান, নেপাল, মালদ্বীপ ও শ্রীলঙ্কায়। মোট মৃত্যুর ৬ শতাংশও এই দেশ ক’টিতে। খবর বিডিনিউজের।
করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যায় বিশ্বে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ভারতে সংক্রমণ এবং মৃত্যুর হার দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে ৮৪ শতাংশ। দেশটিতে কোভিড-১৯ সংক্রমিত হয়েছে এক কোটি ৪০ লাখ ৭৪ হাজার ৫৬৪ জনে। জন হপকিন্স ইউনিভার্সিটির তথ্যে দেখা যায়, বিশ্বে এখনও মৃত্যুর তালিকায় শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে ৫ লাখ ৬৪ হাজারের বেশি মৃত্যু ঘটেছে ইতোমধ্যে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ব্রাজিলে মৃতের সংখ্যা ৩ লাখ ৬১ হাজারের বেশি। ২ লাখ ১০ হাজার মৃত্যু নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে মেক্সিকো। চতুর্থ স্থানে থাকা ভারতে মৃতের সংখ্যা ১ লাখ ৭৩ হাজারের উপরে। পঞ্চম স্থানে থাকা যুক্তরাজ্যে মৃতের সংখ্যা ১ লাখ ২৭ হাজার। এক লাখের বেশি মৃত্যু নিয়ে ষষ্ঠ ও সপ্তম স্থানে রয়েছে ইতালি ও রাশিয়া। অষ্টম স্থানে থাকা ফ্রান্সে মৃতের সংখ্যা ৯৯ হাজারের বেশি। তার পরের স্থানেই রয়েছে জার্মানি। দশম স্থানে থাকা স্পেনে মৃতের সংখ্যা ৭৬ হাজার। তার পরের স্থানগুলোতে রয়েছে কলম্বিয়া, ইরান, পোল্যান্ড, আর্জেন্টিনা, পেরু, দক্ষিণ আফ্রিকা, ইন্দোনেশিয়া, ইউক্রেইন, তুরস্ক, চেক রিপাবলিক, রুমানিয়া, চিলি, হাঙ্গেরি, বেলজিয়াম, কানাডা, ইকুয়েডর, নেদারল্যান্ডস, পর্তুগাল। এদের পরে রয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার দেশ পাকিস্তান। দেশটিতে ১৫ হাজারের বেশি কোভিড-১৯ রোগীর মৃত্যু ঘটেছে। এর পরে রয়েছে ফিলিপিন্স, বুলগেরিয়া, ইরাক, সুইডেন, মিশর, বলিভিয়া, স্লোভাকিয়া।
বাংলাদেশের ঠিক আগের স্থানে রয়েছে ইউরোপের দেশ সুইজারল্যান্ড। সেদেশে ১০ হাজার ৪৮৮ জনের মৃত্যু ঘটিয়েছে করোনাভাইরাস। বাংলাদেশের ঠিক পরের অবস্থানে থাকা অস্ট্রিয়ায় মৃতের সংখ্যা ৯ হাজার ৭০০। এর পরের অবস্থানে থাকা তিউনিসিয়া, জাপান ও গ্রিসে ৯ হাজারের বেশি মৃত্যু ঘটেছে। সারা বিশ্বে করোনাভাইরাসে সংক্রমণের সংখ্যা এখন প্রায় ১৪ কোটি, আর মৃতের সংখ্যাও ৩০ লাখের কাছাকাছি পৌঁছেছে। সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ে দক্ষিণ ও পূর্ব এশিয়ায় রোগী দ্রুতগতিতে বাড়তে থাকায় পরিস্থিতি জটিল হয়ে উঠেছে বলে সতর্ক করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। সোমবার সংস্থাটির কোভিড-১৯ বিষয়ক কারিগরি দলের প্রধান মারিয়া ভ্যান কেরখব বলেন, আমরা এখন মহামারির জটিল একটি অবস্থানে আছি।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কোভিড-১৯ বিষয়ক কারিগরি দলের প্রধান মারিয়া বলেন, মহামারী এখন ঊর্ধ্বগতিতে বাড়ছে। স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার ওপর জোর দিয়ে তিনি বলেন, এটা নিয়ন্ত্রণের প্রমাণিত উপায় যেহেতু আমাদের আছে, তাই আমরা ১৬ মাস ধরে একটা মহামারীর মধ্যে থাকতে পারি না। বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণের কারণে বুধবার সকাল থেকে কঠোর বিধিনিষেধ চালু করে সরকার। এই বিধিনিষেধকে ‘সর্বাত্মক লকডাউন’ বলা হচ্ছে। টানা আটদিনের এই নিষেধাজ্ঞা চলবে ২১ এপ্রিল রাত ১২টা পর্যন্ত।

পূর্ববর্তী নিবন্ধশঙ্খে রেলসেতুতে ইস্পাতের গার্ডার বসানো শুরু
পরবর্তী নিবন্ধলকডাউন না মানায় ৪১ হাজার টাকা জরিমানা