যেভাবে জিপ চালককে ‘হত্যা’ করলেন বাসের চালক

আজাদী প্রতিবেদন | রবিবার , ৩০ জানুয়ারি, ২০২২ at ৫:৪২ পূর্বাহ্ণ

আলমগীর হোসেন (৩৫) পেশায় একজন বাস চালক। তিনি শান্তি পরিবহন (ঢাকা মেট্রো ব-১৪-০৮১৫) বাসের চালক। অপরদিকে খুন হওয়া আইয়ুব আলী (২৪) একজন জিপ চালক। আইয়ুব আলী গত ৫ জানুয়ারি তার জিপে ঢালাই কাজের শ্রমিক ও ঢালাই সরঞ্জাম নিয়ে নিজ এলাকা শালবন থেকে দীঘিনালার উদ্দেশ্যে রওনা হন। সকাল পৌনে ৬টার দিকে আইয়ুব খাগড়াছড়ি জেলার সদর থানাধীন মাইল এলাকার দীঘিনালা-খাগড়াছড়ি আঞ্চলিক মহাসড়কে পৌঁছে। বিপরীত দিক থেকে আলমগীর তার বাস দিয়ে আইয়ুবের জিপকে সামনা সামনি চাপ দিতে চাইলে আইয়ুব কোনোমতে পাহাড়ে জিপটি ঠেকিয়ে যাত্রীসহ প্রাণে রক্ষা পান। কিন্তু বাস চালক আলমগীর ইচ্ছাকৃতভাবে পুনরায় বাস পেছনে এনে আইয়ুবের গাড়ির কাছে এসে থামেন। ২ নং আসামি মাসুম মিয়া বাসের জানালা খুলে লাঠি হাতে আইয়ুবের মাথায় আঘাত করেন। আইয়ুব আলী মাটিতে পড়ে যান। মাটি থেকে উঠে তিনি বাসের চালক আলমগীরকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে আলমগীর গাড়ি স্টার্ট দিয়ে আইয়ুবের উপর দিয়ে চালিয়ে চলে যান।
রীতিমতো রোমহর্ষক বর্ণনা। ঘটনার কথা জানাচ্ছিলেন র‌্যাব-৭ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) নূরুল আবছার। খাগড়াছড়ির আইয়ুব হত্যা মামলার আসামি আলমগীর হোসেনকে বরিশাল থেকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। তিনি খাগড়াছড়ি দীঘিনালার ইমান আলীর পুত্র। র‌্যাব জানায়, এ ঘটনায় আইয়ুবের ভাই নুর নবী প্রকাশ জনি বাদী হয়ে খাগড়াছড়ি থানায় মামলা করেন। র‌্যাব এ ঘটনার ছায়া তদন্ত করে ২৮ জানুয়ারি বরিশাল জেলার মেহেন্দীগঞ্জ থানার ভাসানচর ইউপির মাঝগ্রাম এলাকা থেকে মামলার ১ নং আসামি বাস চালক আলমগীর হোসেনকে (৩৫) গ্রেপ্তার করে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকাপ্তাইয়ে বাণিজ্যিকভাবে চাষ হবে টক আতা
পরবর্তী নিবন্ধমৃত্যুঞ্জয়ের হ্যাটট্রিকে চট্টগ্রামে প্রথম জয় স্বাগতিকদের