প্রায় ১ মাস জেলে থাকার পর অবশেষে ৮ অক্টোবর জামিন পেয়েছেন রিয়া চক্রবর্তী। ১৪ জুন সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পর থেকেই তার বান্ধবী রিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠতে শুরু করে। কয়েক দফা জিজ্ঞাসাবাদ শেষে গত ৮ সেপ্টেম্বর গ্রেপ্তার হন তিনি মাদকে সম্পৃক্ত থাকার জন্য। কেমন ছিলো রিয়ার জেলজীবন? অনেকেই কৌতুহলী এ নিয়ে। সে কৌতুহল মেটালেন এ অভিনেত্রীর আইনজীবী সতীশ মানেশিন্দে। এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, আমি ব্যক্তিগতভাবে অনেক বছর পরে একজন মক্কেলকে দেখতে কারাগারে গিয়েছিলাম। আমি সেখানে গিয়ে দেখি রিয়া নিজের ভালো যত্ন নিচ্ছেন। এমনকি কারাগারের বন্দীদের নিয়ে যোগ ব্যায়ামের ক্লাস করাচ্ছেন। আমি খুব অবাক হয়ে দেখলাম যে শুরু থেকেই জেলজীবনের সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলেন রিয়া। তিনি খাওয়া দাওয়াও কারাগারের ভেতরেই করতেন। কারণ মহামারির জন্য কারাগারে বাইরের খাবারে নিষেধাজ্ঞা ছিলো। তিনি কয়েদিদের সঙ্গে আর সবার মতো সাধারণভাবেই ছিলেন। আমার কাছে তার এই সময়কালকে একটি যুদ্ধক্ষেত্র মনে হয়েছে। রিয়া যোদ্ধাই ছিলেন। এ আইনজীবী আরও বলেন, কারাগারে তিনি একাই যুদ্ধ করে গেছেন। খুব শক্ত মনের মেয়ে। তিনি সর্বদাই প্রস্তুত থাকতেন বাইরের মানুষের কাছে থেকে ক্ষতির সম্মুখীন হওয়ার জন্য। এমনকি মিডিয়া চ্যানেলগুলো, যারা বিশেষত রিয়ার বিপক্ষে ছিল, তারা কেবল টিআরপির জন্য অনেক মিথ্যে মনগড়া সংবাদ ছড়িয়েছে। যেহেতু তিনি জানতেন তাকে ভোগানো হবে তাই সবকিছুর জন্য তৈরি ছিলেন রিয়া। উল্লেখ্য, চলমান সুশান্তের এই ঘটনায় এক মাস জেলজীবন শেষে জামিন পেয়েছেন রিয়া। তারসঙ্গে জামিন হয়েছে স্যামুয়েল মিরান্ডা, দীপেশ সাওয়ান্তরাও। তবে জামিন পাননি অন্য দুই অভিযুক্ত রিয়ার ভাই শৌভিক চক্রবর্তী ও আবদুল বাসিত।