ইউক্রেনের ডনবাস অঞ্চল সামরিকভাবে হোক বা অন্য কোনওভাবে, পুরোপুরি দখলে নেবে রাশিয়া। এক সাক্ষাৎকারে একথা বলেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। খবর বিডিনিউজের।
ভারত সফরের আগে ইন্ডিয়া টুডে–কে দেওয়া এই সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ইউক্রেইনের সেনারা ডনবাস ছাড়তে অস্বীকৃতি জানালে রাশিয়া শক্তি প্রয়োগ করবে। ইউক্রেনের সেনারা হয় এই অঞ্চলগুলো থেকে সরে যাবে, নতুবা আমরা অস্ত্রের শক্তিতে অঞ্চলগুলোকে মুক্ত করব, বলেন পুতিন। বৃহস্পতিবার সাক্ষাৎকারটি রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় টিভিতে প্রচারিত হয়েছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্স লিখেছে, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ডনবাসে রাশিয়া–সমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদী এবং ইউক্রেনীয় সেনাদের আট বছরের লড়াই চলার পর পুতিন ইউক্রেনে পুরোমাত্রায় আগ্রাসন চালান। দোনেৎস্ক ও লুহানস্ক নিয়ে গঠিত ডনবাস অঞ্চল। ইউক্রেন বলেছে, তারা যুদ্ধক্ষেত্রে রাশিয়ার দখল নিতে ব্যর্থ হওয়া অঞ্চলগুলো তাদেরকে উপহার হিসেবে দিয়ে দিতে আগ্রহী নয়। প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কি বরাবরই বলে আসছেন, রাশিয়াকে আগ্রাসন চালানোর জন্য পুরস্কৃত করা উচিত নয়। রাশিয়া বর্তমানে ইউক্রেনের প্রায় ১৯ দশমিক ২ শতাংশ এলাকা নিয়ন্ত্রণে রেখেছে। তাছাড়া, ক্রাইমিয়া উপদ্বীপ, লুহানস্কের পুরোটা, দনেৎস্কের ৮০ শতাংশের বেশি এলাকা, খেরসন ও জাপোরিঝিয়ার প্রায় ৭৫ শতাংশ এবং খারকিভ, সুমি, মিকোলাইভ ও দনিপ্রোপেত্রোভস্কের কিছু অংশ রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে আছে। দোনেৎস্কের প্রায় ৫ হাজার বর্গকিলোমিটার এখনও ইউক্রেইনের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্ভাব্য শান্তিচুক্তি নিয়ে আলোচনায় রাশিয়া বারবারই বলেছে, পুরো ডনবাসের নিয়ন্ত্রণ তাদের চাই এবং ওয়াশিংটনের উচিত ডনবাসে রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠাকে অনানুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেওয়া। ২০২২ সালে রাশিয়া দনেৎস্ক, লুহানস্ক, খেরসন ও জাপোরিঝিয়াকে গণভোটের মাধ্যমে নিজেদের অংশ হিসাবে দাবি করে, যা পশ্চিমা দেশগুলো ও কিয়েভ ভুয়া বলে প্রত্যাখ্যান করেছে।
বেশির ভাগ দেশই এই চার অঞ্চল এবং ক্রাইমিয়াকে ইউক্রেনের ভূখণ্ড হিসাবেই স্বীকৃতি দেয়। মঙ্গলবার পুতিন ক্রেমলিনে মার্কিন দূত স্টিভ উইটকফ ও জ্যারেড কুশনারের সঙ্গে ইউক্রেন শান্তি প্রস্তাব নিয়ে বৈঠক করেছেন। পরে ক্রেমলিন জানায়, পুতিন যুক্তরাষ্ট্রের এই শান্তি প্রস্তাবের কিছু বিষয় মেনে নিয়েছেন এবং আলোচনা চালিয়ে যেতেও তিনি প্রস্তুত। রুশ রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আরআইএ জানিয়েছে, বৈঠককে খুবই ফলপ্রসূ বলেছেন পুতিন। তিনি দাবি করেছেন, এ আলোচনার ভিত্তি তৈরি হয়েছিল গত অগাস্টে আলাস্কায় তার ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কথোপকথনের সময়।










