বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মত যে কোনো ফরম্যাটে বাাংলাদেশ হকি দল বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে। বাংলাদেশ যুব হকি দল সেই ইতিহাস গড়ে গতকাল দেশে ফিরেছে। দলকে বিমানবন্দরে প্রাথমিক সংবর্ধনা দিয়েছেন হকি ফেডারেশনের কর্মকর্তারা। এরপর বিমান বাহিনীর ফ্যালকন হলে তাদের আনুষ্ঠানিক সংবর্ধনা দেওয়া হয়। সেখানে ফেডারেশনের সভাপতি ও বিমানবাহিনীর প্রধান এয়ার চীফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খান ৫ লক্ষ টাকা পুরস্কারের ঘোষণা করেন। দেশের ক্রান্তিকালেও হকি ফেডারেশনের সভাপতি তার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় আর্থিক সংকট দূর করে ওমানে অনুষ্ঠিত এশিয়া কাপে পুরুষ ও নারী হকি দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করেছেন। খেলোয়াড়দের জন্য তিনি উপযুক্ত কোচ, উন্নতমানের সাজ–সরঞ্জাম, ট্রেনিং জার্সি ও পুষ্টিকর খাবারের ব্যবস্থা করেছেন, যা তাদের মনোবল বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে। এবার ৫ লক্ষ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করে খেলোয়াড়দের আরও অনুপ্রাণিত করলেন। আগামী ডিসেম্বরে যুব হকি বিশ্বকাপে খেলবে বাংলাদেশ। হাতে প্রায় এক বছরের বেশি সময় আছে। এই সময়ে নিজেদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে চান হকি ফেডারেশনের সভাপতি হাসান মাহমুদ খান। তিনি বলেন, ‘আমাদের টেকনিক্যাল কমিটিতে যারা আছেন তারা আমাদের উপদেশ দিবেন, আমরা সেই অনুযায়ী কাজ করব। প্রয়োজন হলে বাইরে থেকে কোচ নিয়ে আসবো। বর্তমান যুগের হকি অনেক পরিবর্তিত। টেকনিক্যাল থেকে অনেক ফিজিক্যাল হয়ে গেছে খেলাগুলি অনেক ফাস্ট হয়ে গেছে। ওদের সাথে কমপিট করতে হলে আমাদের অনেক প্রস্তুতি নিতে হবে। আমাদের ছেলেরা আমাদের দারুন একটি সুযোগ করে দিয়েছে যেন আমরা নতুন করে এগিয়ে যেতে পারি আমরা সেই সুযোগটা সদ্ব্যবহার করব। ফেডারেশনের সহযোগিতায় আমরা অবশ্যই এটা চেষ্টা করব। বারবারই বলেছি আমাদের মেইন যারা তারা হচ্ছে আমাদের খেলোয়াড়। তাদেরকে আমাদের ঠিক রাখতে হবে। তারা যদি ঠিক থাকে তাহলে অটোমেটিক্যালি আমরা ভালো করতে পারবো। হকি ফেডারেশনে আগে যে বাধাগুলো ছিল এখন আর সে বাধাগুলো নেই। হকিতে এখন যে আমরা নতুন এডহক কমিটি এসেছি আমাদের এখন একটাই চিন্তা হকির উন্নতি।’