বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ প্রতিষ্ঠার ৫০ বছর ও সুবর্ণ জয়ন্তী আজ। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বলিষ্ঠ, গতিশীল, সাহসী ও ঐন্দ্রজালিক নেতৃত্বে আমরা পেয়েছি নিজস্ব জাতি রাষ্ট্র ও গর্বিত আত্মপরিচয়। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে যে যুবশক্তির উন্মেষ ঘটেছিল, সদ্য স্বাধীন যুদ্ধ-বিধ্বস্ত স্বদেশ পুনর্গঠনে সেই যুবশক্তিকে সম্পৃক্ত করার অভীষ্ট লক্ষ্যে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সৃষ্টি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের নির্দেশে যুবনেতা
শেখ ফজলুল হক মণির নেতৃত্বে ১৯৭২ সালের ১১ নভেম্বর এই সংগঠনের জন্ম। জন্মলগ্ন থেকেই যুবলীগ আত্মনিয়োগ করে দেশ গঠনে।
স্বাধিকার আন্দোলন তথা জনগণের ভোটে ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে জীবন দিয়েছেন যুবলীগ নেতা নূর হোসেন, নুরুল হুদা বাবুল, ফাত্তাহসহ অনেকে। তাঁদের মহান আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে। যুবলীগের সুবর্ণজয়ন্তী পালন উপলক্ষে আজ দুপুর আড়াইটায় রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যুব মহাসমাবেশের আয়োজন করছে। আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যুব মহাসমাবেশে প্রধান অতিথি থাকবেন।
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে শেখ ফজলুল হক মনির উদ্যোগে মুজিব বাহিনী গঠিত হয়। মুজিব বাহিনী গঠনের পাশাপাশি শেখ মনি প্রকাশ করেন ‘বাংলার বাণী’ পত্রিকা। এ পত্রিকায় তিনি নিজে লিখতেন, থাকত রণাঙ্গণের খবর। এভাবে তিনি একটি নতুন স্বদেশ সৃজনে নিজের মেধা, সাহস ও প্রজ্ঞার স্ফুরণ ঘটিয়েছিলেন। বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জনের পর বাংলার বাণী দৈনিক পত্রিকা হিসেবে তার সম্পাদনায় প্রকাশিত হতে থাকে। বাংলার বাণী যেমন মুক্তিযুদ্ধের মুখপাত্র হয়ে উঠেছিল। আবার তার প্রতিষ্ঠিত সুস্থ বিনোদনধর্মী সাপ্তাহিক ‘সিনেমা’ পত্রিকা ছিল বাঙালি সংস্কৃতির পরিশীলিত বুনিয়াদ গড়ার কাজ করেছিল। ঢাকার ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দ্দী উদ্যানে স্মরণকালের সববৃহৎ যুব মহাবেশের উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ এই যুব রাজনৈতিক সংগঠন। সারাদেশ থেকে যুবলীগের নেতাকর্মীরা ঢাকামুখী হতে সকল প্রকার প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছেন আগে থেকেই। আজ সকালের মধ্যেই মহাসমাবেশে যোগদানের উদ্দেশ্যে ১০ লক্ষাধিক যুবলীগ নেতকর্মী ঢাকায় অবস্থান করবে বলে আশা করছে সংগঠনটি।