যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে চট্টগ্রামের ১০ মুখ

আজাদী প্রতিবেদন | রবিবার , ১৫ নভেম্বর, ২০২০ at ৯:০৮ পূর্বাহ্ণ

সপ্তম জাতীয় কংগ্রেসের প্রায় এক বছর পর ২০১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি পেয়েছে আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ। পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে চট্টগ্রাম থেকে স্থান পেয়েছেন ১০ জন। এদের মধ্যে তিনজন যুবলীগের গত কেন্দ্রীয় কমিটিতে ছিলেন। এছাড়া এবার কমিটিতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক তিন ছাত্রলীগ নেতাও স্থান পেয়েছেন। গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় কমিটি ঘোষণা করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
চট্টগ্রাম থেকে স্থান পাওয়া নেতারা হলেন প্রেসিডিয়াম সদস্য পদে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মনজুর আলম শাহীন। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যায়সহ চট্টগ্রামে রাজনীতি করলেও গ্রামের বাড়ি ফেনী। যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মো. বদিউল আলম নতুন কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনোনীত হয়েছেন। তার গ্রামের বাড়ি পটিয়া উপজেলায়।
এছাড়া চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি কাজী মো. মাজহারুল ইসলাম এবং যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক আবু মুনির মো. শহীদুল হক রাসেল নতুন কমিটিতে সাংগঠনিক সম্পাদক মনোনীত হয়েছেন। যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক উপ কৃষি ও সমবায় সম্পাদক মীর মো. মহিউদ্দিন নতুন কমিটিতে তথ্য ও গবেষণা সম্পাদকের পদ পেয়েছেন। তার গ্রামের বাড়ি চন্দনাইশ।
কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি আদিত্য নন্দী নতুন কমিটির উপ প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মনোনীত হয়েছেন। তার গ্রামের বাড়ি হাটহাজারী। পটিয়ার বাহুলী গ্রামের আবদুর রহমান নতুন কমিটিতে হয়েছেন উপ ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক নেতা ও সাতকানিয়া পৌর যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন মিন্টু যুবলীগের নতুন কমিটিতে সহ-সম্পাদক মনোনীত হয়েছেন। কার্যনির্বাহী সদস্য হিসেবে মনোনীত হয়েছেন সাতকানিয়ার কায়কোবাদ ওসমানী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পালি বিভাগের শিক্ষক প্রফেসর ড. বিমান চন্দ্র বড়ুয়া। ড. বিমানের গ্রামের বাড়ি রাউজানের পশ্চিম আঁধারমানিক।
এছাড়া জেলা কোটায় চট্টগ্রাম থেকে সিসি মেম্বার হয়েছেন মো. মুনায়েম খান, মো. মইনুল ইসলাম মামুন, নিয়াজ মুরশেদ এলিট, ড. সুবোধ দেবনাথ, মো. জসিম উদ্দিন রাজিব ও রেজাউল করিম বাপ্পি।
নতুন কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. বদিউল আলম গতকাল আজাদীকে বলেন, আমরা রাজনৈতিক কর্মী। সারা জীবন রাজনীতি করি। সম্মেলন হলে একটি পদ চাই। নির্বাচন এলে একটি মনোনয়ন চাই। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে নতুন কমিটিতে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনোনীত করে আমার প্রত্যাশা পূরণ করেছেন। এবার আমি বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজগুলো সম্পন্ন করার জন্য নেত্রীর হাতকে শক্তিশালী করব।
নতুন কমিটিতে তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক পদে মনোনীত মীর মো. মহিউদ্দিন আজাদীকে বলেন, সাতবাড়িয়া স্কুলে ছাত্রলীগের সভাপতি দিয়ে আমার রাজনীতি শুরু। আমি গত কমিটির উপ কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ছিলাম। ২০০৮ সালের কমিটিতে কার্যনিবাহী সদস্য ছিলাম। ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রামে জেল জুলুম ও নির্যাতনের শিকার হয়েছি। রাজপথ থেকে কখনো পিছু হটিনি। সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের মতো ত্যাগী কর্মীদের মূল্যায়ন করেছেন। আমরা রাজপথে সদা সক্রিয় থেকে তার মূল্য দেওয়ার চেষ্টা করব।
শুদ্ধি অভিযানে সবচেয়ে বেশি আলোচনায় আসা যুবলীগের সপ্তম কংগ্রেসে গত বছরের ২৩ নভেম্বর তিন বছরের জন্য নেতৃত্বে আসেন সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা শেখ ফজলুল হক মনির ছেলে শেখ ফজলে সামস পরশ। তার সঙ্গে সাধারণ সম্পাদক হন যুবলীগের ঢাকা উত্তরের সভাপতি মাইনুল হোসেন খান নিখিল।
মাইনুল হোসেন খান নিখিল জানান, আমাদের সাংগঠনিক নেত্রী আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে কমিটি জমা দিয়েছিলাম। অনুমোদনের পর আজ বিকালে (শনিবার) আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ভাই আমাদের কাছে অনুমোদিত কমিটি হস্তান্তর করেছেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধনগরীতে ‘দাম্পত্য কলহে’ দুই গৃহবধূর আত্মহত্যা
পরবর্তী নিবন্ধঅবৈধ সাইনবোর্ড উচ্ছেদে চসিক