যুবলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যুবলীগের ওয়েবসাইট ও মোবাইল এ্যাপস উদ্বোধন করেছেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রী যুবলীগে তথ্য প্রযুক্তির সংযোজন দেখে প্রশংসা করেন। তিনি পর্যায়ক্রমে আওয়ামী লীগ ও সকল অঙ্গ সংগঠনের জন্য এ্যাপস তৈরির নির্দেশ দেন। গতকাল শুক্রবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যুবলীগের সমাবেশে এ এ্যাপসের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে মঞ্চে ওয়েবসাইট ও মোবাইল এ্যাপস সম্পর্কে অবহিত করেন যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক শামসুল আলম খান অনিক, উপ তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক এন আই আহমেদ সৈকত, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নিয়াজ মোর্শেদ এলিট।
উদ্বোধনের সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মঞ্চে বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে সকল সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ইন্টারনেট ব্যবহারের মাধ্যমে সারা পৃথিবীর সাথে যুক্ত রয়েছে। গ্রাম থেকে বসে পৃথিবীর যে কোন স্থানে যোগাযোগ করতো পারছে। এটা সম্ভব হয়েছে সজিব ওয়াজেদ জয় এবং আওয়ামী লীগ ১৪ বছর ক্ষমতায় থাকার কারনে। আজ যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খানের নেতৃত্বে যুবলীগের অনিক, এলিট এবং সৈকত যুবলীগকে তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে বিশ্বের সাথে সংযুক্ত করেছে। আমি এ উদ্যোগের জন্য তাদের ধন্যবাদ দিচ্ছি।’
অ্যাপস ও ওয়েবসাইট প্রসঙ্গে নির্মাণ প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত নিয়াজ মোর্শেদ এলিট বলেন, ‘প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে যুবলীগের কেন্দ্রীয় ওয়েবসাইট ও মোবাইল এ্যাপস সংগঠনের সারাদেশের কর্মকাণ্ড, সংগঠনের জনশক্তি, তৃণমূলের সাথে কেন্দ্রের যোগাযোগ, কর্মীদের ডাকা সংরক্ষণ করা হবে। এছাড়া কেন্দ্রীয় সভাপতি সাধারণ সম্পাদকের ভিডিও অডিও বার্তা, নোটিশ, কেন্দ্রীয় কর্মসূচি এবং সারাদেশের সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড আপলোড করতে পারবে। সারাদেশের নিবন্ধিত সদস্যদের ডাটা থাকবে। যে কোন কর্মী উপজেলা, জেলা শাখার অনিয়ম স্বেচ্ছাচারিতা বা গঠনতন্ত্র বিরোধী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে কেন্দ্রে অভিযোগ দিতে পারবেন। শুধুমাত্র অভিযোগ বক্স সভাপতি নিজে তদারকি করবেন। একই প্রসঙ্গে যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ বলেছেন, বিএনপির সময় বাংলাদেশকে বলা হতো ‘ব্রিডিং গ্রাউন্ড অব টেরোরিজম’। সেখান থেকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশকে এখন বলা হচ্ছে ‘নেক্সট এশিয়ান টাইগার’। উন্নয়নের পুরোটাই নেতৃত্বের দূরদর্শিতার ওপর নির্ভর করে। জননেত্রী শেখ হাসিনার বাংলাদেশ এখন বিশ্ব নেতাদের চোখে উন্নয়নের মডেল।