যুবলীগকে চাঙা করতে আসছে বিভাগীয় টিম

২৪ নভেম্বর মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলার বর্ধিত সভা

আজাদী প্রতিবেদন | রবিবার , ১৪ নভেম্বর, ২০২১ at ৫:৪৯ পূর্বাহ্ণ

ঝিমিয়ে পড়া চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা যুবলীগকে চাঙা করতে আগামী ২৪ নভেম্বর চট্টগ্রাম আসছেন চট্টগ্রাম বিভাগের সাংগঠনিক দায়িত্বপ্রাপ্ত যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নাঈমসহ সাংগঠনিক টিমের সদস্যরা। ওইদিন সকালে মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা যুবলীগের বর্ধিত সভা হবে। সভায় চট্টগ্রাম বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুর রহমান সোহাগও আসছেন। মহামারিসহ নানা কারণে দীর্ঘদিন জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে কমিটি করতে পারেনি ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন যুবলীগ। ইউনিয়ন ও পৌরসভা নির্বাচন সামনে রেখে সম্মেলনও করতে পারছে না সংগঠনটি। তবে সংগঠন চাঙা রাখতে এরই মধ্যে কেন্দ্রের বিভাগীয় টিম সফরে নেমেছে। বিভিন্ন জেলায় বর্ধিত সভা করে সংগঠন গোছাতে নেতারা তৎপর হয়ে উঠেছেন। তারই অংশ হিসেবে ২৪ নভেম্বর চট্টগ্রাম আসছেন তারা। শেখ ফজলে নাঈম চট্টগ্রাম বিভাগের সাংগঠনিক দায়িত্ব পাওয়ার পর তিন পার্বত্য জেলা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা যুবলীগের বর্ধিত সভা করেছেন। প্রতিটি বর্ধিত সভায় ছিল উৎসাহ-উদ্দীপনা। এদিকে দীর্ঘদিন চট্টগ্রামে যুবলীগের নতুন কমিটি না হওয়ায় তৃণমূলে ক্ষোভ বাড়ছে। যারা নতুন নেতৃত্বে আসতে চান, বছরের পর বছর অপেক্ষা করছেন, তারা হতাশ হয়ে পড়েছেন।
২০১৩ সালের ১৩ জুলাই মহিউদ্দিন বাচ্চুকে আহ্বায়ক ও দেলোয়ার হোসেন খোকা, দিদারুল আলম, ফরিদ মাহমুদ ও মাহবুবুল হক সুমনকে যুগ্ম আহ্বায়ক করে তিন মাসের জন্য ১০১ সদস্যের চট্টগ্রাম মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয় কেন্দ্র থেকে। বর্তমানে এই কমিটির সাড়ে ৮ বছর চলছে। এই সময়ের মধ্যে সম্মেলন বা পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করতে পারেনি মহানগর যুবলীগ। ফলে বেড়েছে দ্বন্দ্ব-বিভক্তি। দুর্বল হয়ে পড়েছে সাংগঠনিক ব্যবস্থা। গত ৮ বছরে নগরীর ৪৩ সাংগঠনিক ওয়ার্ডের মধ্যে মাত্র ৫টিতে সম্মেলন করতে পেরেছে। সেগুলো নিয়েও রয়েছে বিতর্ক। বাকি ওয়ার্ডগুলোর সম্মেলন করতে পারেনি মহানগর যুবলীগ। বাস্তবায়িত হয়নি পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনে কেন্দ্রের নির্দেশনা। নতুন কমিটি না হওয়ায় বাড়ছে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব। ৮ বছর ধরে যুবলীগের নতুন নেতৃত্ব যেমন গড়ে উঠেনি, তেমনি সাংগঠনিক কার্যক্রমও ঝিমিয়ে পড়েছে। নতুন নেতৃত্ব আশাহত হয়ে পড়েছেন। নেতাকর্মীরা বলছেন, নগর যুবলীগের শীর্ষ পদধারীদের মধ্যে অনেকেই এখন আর যুবলীগ করতে চান না। আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডে; যার কারণে মহানগর যুবলীগ এখন অনেকটা দুর্বল হয়ে পড়েছে। বেড়েছে নেতৃত্বের দ্বন্দ্ব।
এদিকে ২০১০ সালে আ ম ম টিপু সুলতান চৌধুরীকে সভাপতি এবং পার্থ সারথী চৌধুরীকে সাধারণ সম্পাদক করে সর্বশেষ কেন্দ্র থেকে দক্ষিণ জেলা যুবলীগের কমিটি ঘোষণা করা হয়েছিল। যার বয়স ১১ বছর। এই ১১ বছরে একটি কমিটি নেতৃত্বে থাকায় তৃণমূল থেকে নতুন নেতৃত্ব গড়ে উঠেনি। নতুন নেতৃত্বের জন্য যারা বছরের পর বছর অপেক্ষায় আছেন তারা হতাশ হয়ে পড়েছেন।
২০১২ সালে সীতাকুণ্ডের এস এম আল মামুনকে সভাপতি ও হাটহাজারীর এসএম রাশেদুল আলমকে সাধারণ সম্পাদক করে উত্তর জেলা যুবলীগের কমিটি কেন্দ্র থেকে ঘোষণা করা হয়। বর্তমানে এস এম আল মামুন সীতাকুণ্ড উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। এসএম রাশেদুল আলম হাটহাজারী উপজেলা চেয়ারম্যান।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকৌতুক কণিকা
পরবর্তী নিবন্ধফটিকছড়িতে ইউপি সদস্য প্রার্থীকে পিটিয়ে জখম