রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ বন্ধে একটি খসড়া শান্তি পরিকল্পনা পাওয়ার পর ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, সংঘাতের অবসানে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ‘সৎভাবে কাজ করতে’ তিনি প্রস্তুত। ওই খসড়া পরিকল্পনার আওতায় দনবাস অঞ্চলের যেসব এলাকা এখনও ইউক্রেনের দখলে আছে কিইভকে সেগুলো ছেড়ে দিতে হবে, সেনাবাহিনীর আকার ছোট করে ফেলতে হবে এবং নেটোতে যুক্ত না হওয়ার নিশ্চয়তা দিতে হবে বলে একাধিক মার্কিন গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। খবর বিডিনিউজের।
এই খসড়া পরিকল্পনা বানানোর ক্ষেত্রে ইউক্রেনের সংশ্লিষ্টতা কতখানি তা স্পষ্ট নয়। যদিও হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলাইন লেভিট বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র উভয় পক্ষের সঙ্গেই ‘সমান যোগাযোগ রেখেছে’। পৃথক এক বিবৃতিতে জেলেনস্কির কার্যালয় বলেছে, তারা যুদ্ধের ন্যায়সঙ্গত অবসানের লক্ষ্যে পরিকল্পনার বিভিন্ন ধারাগুলো নিয়ে কাজ করতে সম্মত হয়েছে। ২৮ দফার খসড়া ওই পরিকল্পনার পুরোটা ছেপেছে ফাইন্যান্সিয়াল টাইমস ও এক্সিওস। এতে ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর সদস্য সংখ্যা ৬ লাখের মধ্যে রাখতে বলা হয়েছে, পাশাপাশি ইউক্রেনকে তার কাছে থাকা অত্যাধুনিক অনেক সমরাস্ত্রও ত্যাগ করতে হবে, তবে তাদের সহায়তায় পোল্যান্ডে ইউরোপীয় যুদ্ধবিমান মোতায়েন থাকবে। পরিকল্পনায় কিইভকে ‘নির্ভরযোগ্য নিরাপত্তা নিশ্চয়তা’ দেওয়ার অঙ্গীকার করা হলেও এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলা হয়নি।
এসবের বিনিময়ে রাশিয়ার নিষেধাজ্ঞা তুলে এবং তাদেরকে শিল্পোন্নত দেশগুলোর জোট জি৭–এ নিয়ে ‘বৈশ্বিক অর্থনীতিতে ফের যুক্ত করা হবে’। রাশিয়া যুক্ত হলে শিল্পোন্নত দেশগুলোর জোটটি পুনরায় জি–৮ হিসেবে আবির্ভূত হবে। ইউক্রেনকে পাঠানো পরিকল্পনায় যদি এসবই থাকে তবে মোটাদাগে এতে মস্কোর স্বার্থকেই বেশি প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে, বলছে রয়টার্স। জেলেনস্কি জানিয়েছেন, আসছে দিনগুলোতে তিনি এসব প্রস্তাব নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলবেন।












