রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেন যুদ্ধে শীতকে একটি অস্ত্র হিসেবে ব্যবহারের চেষ্টা করছেন বলে মনে করেন ন্যাটো মহাসচিব ইয়েন্স স্টলটেনবার্গ। মঙ্গলবার রোমানিয়ায় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, রাশিয়ার সামরিক বাহিনী গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ইউক্রেনের পাওয়ার গ্রিডকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করে আকাশ হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। এতে দেশটির লাখ লাখ মানুষ বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়েছেন নতুবা তীব্র শীতের মধ্যে বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ার আশঙ্কায় রয়েছেন। খবর বিডিনিউজের।
গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ইউক্রেনের বিদ্যুৎ অবকাঠামোগুলোতে একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাচ্ছে রাশিয়া। বিশেষ করে গতমাসে খেরসন থেকে রুশ বাহিনী পিছু হটতে বাধ্য হওয়ার পর থেকে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার তীব্রতা অনেক বেড়ে গেছে। বিবিসি জানায়, বিদ্যুৎ অবকাঠামোতে রাশিয়া ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইউক্রেনের লাখ লাখ মানুষ বিদ্যুৎবিচ্ছ্িন হয়ে পড়েছেন। শীত মৌসুমে ইউক্রেনের বেশিরভাগ অঞ্চলে তাপমাত্রা হিমাঙ্কের নিচে নেমে গেছে এবং বিদ্যুৎ না থাকা অঞ্চলগুলোর বাসিন্দাদের চরম মানবেতর অবস্থায় পড়তে হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত বিদ্যুৎ অবকাঠামো সংস্কারের মাধ্যমে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা পুনরায় চালু করতে ইউক্রেনে সহায়তার জন্য যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্য দেশগুলো সেখানে যন্ত্রাংশ এবং জেনারেটর পাঠিয়েছে বলেও জানান স্টলটেনবার্গ। একইসঙ্গে তিনি ইউরোপের বাকি অংশকে আরও বেশি শরণার্থী গ্রহণে প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, রাশিয়া ইচ্ছাকৃতভাবে ইউক্রেনের গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোগুলোতে হামলা চালাচ্ছে।
যার ফলে আরো অনেক শরণার্থী ইউরোপের বাকি অংশে যাবেন এবং এজন্য আমাদের অবশ্যই প্রস্তুত থাকতে হবে। এটি একটি যুদ্ধ…..নৃশংস যুদ্ধ। সমপ্রতি প্রকাশিত এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৭০ লাখ ৪০ হাজার শরণার্থী ইউক্রেন থেকে ইউরোপে প্রবেশ করেছেন। অনেক শরণার্থী রোমানিয়াতেও এসেছেন। যেখানে স্টালটেনবাগের্র নেতৃত্বে ন্যাটো জোটের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠক চলছে। তাদের এবারের আলোচনার মূল বিষয় ইউক্রেন জুড়ে চলা যুদ্ধ এবং তীব্র শীতের মধ্যে এই যুদ্ধে কীভাবে ইউক্রেইনকে সহায়তা করা যায় তা নিয়ে আলোচনা করা।