ইউক্রেনে যুদ্ধ যদি আগামী বছর পর্যন্ত চলে তাহলে দেশটির দুই দশকের অর্থনৈতিক অর্জন মুছে যাবে আর এতে তাদের প্রতি ১০ জন নাগরিকের ৯ জনই দারিদ্র্যের কবলে ও চরম অর্থনৈতিক সংকটে পড়তে পারে। জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি বুধবার আশঙ্কা প্রকাশ করেছে বলে জানিয়েছে। ইউএনডিপির প্রশাসক আসি স্তাইনের জানান, ভেঙে পড়া অর্থনীতির সবচেয়ে বাজে পরিস্থিতি এড়াতে তার সংস্থা কিইভ সরকারের সঙ্গে কাজ করছে। তাদের লক্ষ্য হচ্ছে, ইউক্রেনীয় পরিবারগুলোকে বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজনীয় খাবার কিনতে অর্থ সাহায্য এবং মৌলিক পরিষেবাগুলো নিশ্চিত করে তাদের দেশ ছেড়ে পালানো থেকে বিরত রাখা। খবর বিডিনিউজের।
ইউক্রেনে চলমান যুদ্ধ তিন সপ্তাহে গড়িয়েছে, রুশ বাহিনীর হামলা থেকে রেহাই পেতে এরইমধ্যে ৩০ লাখ মানুষ দেশ ছেড়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, যুদ্ধ শুরুর পর এখন পর্যন্ত ৩০ লাখ ৩৮১ জন ইউক্রেন ছেড়ে প্রতিবেশী দেশগুলোতে আশ্রয় নিয়েছেন। ইউএনএইচসিআর ৪০ লাখ শরণার্থীর জন্য সহায়তার পরিকল্পনা করলেও ইউক্রেন ছাড়া মানুষের সংখ্যা আরও বাড়বে বলে তাদের ধারণা। লিভভের কাছে ইয়াভোরিভ সামরিক ঘাঁটিতে রোববার রুশ হামলার পর পশ্চিম ইউক্রেনের কিছু বাসিন্দা সীমান্তে ঘরছাড়া মানুষের দলে যোগ দিয়েছেন। সংঘাত যদি দীর্ঘ হয়, যদি চলতেই থাকে, তাহলে দারিদ্র্যের হার উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়তে দেখবো আমরা। স্পষ্টতই এই দৃশ্যকল্পের চরম সমাপ্তি হল সামগ্রিকভাবে অর্থনীতির বড় পতন।