যুগে যুগে সমাজ কিংবা রাষ্ট্র যখনি কোন হুমকির সম্মুখীন হয়েছে তখনি এদেশের বুদ্ধিজীবীরা তাদের মেধা, জ্ঞান, লেখনি বা পেশাগত দায়িত্বের উদ্ধে উঠে দেশের জন্য কাজ করেছেন। ভাষা আন্দোলনে মুনির চৌধুরী, আলতাফ মাহমুদদের ভূমিকা প্রমাণ করেছে দুঃশাসনের বিরুদ্ধে সবসময় সোচ্চার ছিলেন এদেশের বুদ্ধিজীবীরা। তাই একাত্তরে স্বাধীনতার ঊষালগ্নে এসে বাঙালি জাতির শ্রেষ্ঠসন্তানদের হত্যা করার মাধ্যমে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বাঙালি মুক্তির চেতনাকে রুদ্ধ করতে চেয়েছিল মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মঞ্চের বুদ্ধিজীবী দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. অধ্যাপক সেকান্দর চৌধুরী এ কথা বলেন। গতকাল সোমবার এম এ আজিজ স্টেডিয়ামের জিমনেসিয়াম চত্বরে বুদ্ধিজীবী দিবসে এই আলোচনা সভার আয়োজন করে মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা পরিষদ। এতে মূখ্য আলোচকের বক্তব্যে অধ্যাপক এ কে এম তফজল হক বলেন, পাকিস্তানিরা ডিসেম্বরে নিশ্চিত পরাজয় জেনে শেষ কামড় হিসেবে ‘বুদ্ধিজীবী হত্যার’ নীলনকশা চূড়ান্ত করে। সভায় বিশেষ অতিথি চবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. অধ্যাপক মঞ্জুরুল আলম বলেন, পাকিস্তানিরা সবসময় এদেশের বুদ্ধিজীবীদের অসামপ্রদায়িক ও মুক্তির চেতনাভিত্তিক রাষ্ট্র গড়ার স্বপ্নকে নিজেদের অস্বিত্বের জন্য হুমকি মনে করতো। চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শুকলাল দাশ বলেন, আমরা একাত্তরের বিজয় দেখিনি। কিন্তু দেশি- বিদেশি ষড়যন্ত্রের মুখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেশ পরিচালনার দক্ষতা দেখেছি। দেশি-বিদেশি শত বাধা উপেক্ষা করে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ এ জাতির জন্য আরেকটি বিজয়। বীর মুক্তিযোদ্ধা নঈম উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং পান্টু লাল সাহার সঞ্চালনায় সভায় আরো বক্তব্য দেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. সরফরাজ খান চৌধুরী বাবুল, বি এম রুবেল আহম্মদ শ্রাবণ প্রমুখ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।