যুগের ভয়াবহতা এবং চাহিদার নিরিখে নবীদের আগমন ছিলো যৌক্তিক এবং প্রাসঙ্গিক। যে যুগের মানুষের যত বেশি চারিত্রিক অবনতি হয়েছিলো সে যুগে ততবেশি ক্ষমতা সম্পন্ন নবীর আগমন ঘটেছিলো। আইয়্যামে জাহেলিয়ত এমন এক সময় যখন পূর্বেকার সকল বর্বরতা হার মেনেছিলো ঠিক সে সময়ই নবীদের নবী, খোদার হাবীব, হযরত মুহাম্মদ মোস্তফা (দ.) এ ধরার বুকে আগমন করেছেন। যিনি আঁধারে ডুবে যাওয়া মানবজাতিকে শিখিয়েছেন সিজদায় নত হয়ে একমাত্র রবের আনুগত্য, চারিত্রিক কোমলতা, সবর শোকর, তাকওয়া তাওয়াক্কুল, তাহারাত আর তওবার নিরিখে জীবন যাপনের গুরুত্ব।
গতকাল শনিবার দিনরাত ব্যাপী চট্টগ্রাম বায়েজিদস্থ কাগতিয়া আলীয়া গাউছুল আজম দরবার শরীফ কমপ্লেক্সে ৬৯ তম জশ্নে জুলুছে ঈদে মিলাদুন্নবী (দ.) মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কাগতিয়া আলীয়া গাউছুল আজম দরবার শরীফের মোর্শেদ আল্লামা অধ্যক্ষ শায়খ ছৈয়্যদ মুহাম্মদ মুনির উল্লাহ্ আহমদী মাদ্দাজিল্লুহুল আলী এসব কথা বলেন।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট ও সিনেট সদস্য ও মুনিরীয়া যুব তবলীগ কমিটি বাংলাদেশের সিনিয়র সহ-সভাপতি প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আবুল মনছুরের সভাপতিত্বে মাহফিলে বক্তব্য রাখেন, মাওলানা এইচ এম. আবু বকর, মাওলানা মো. জসিম, মাওলানা মো. এরশাদ হোসাইন, বীর মুক্তিযোদ্ধা ছরওয়ার কামাল, বীর মুক্তিযোদ্ধা খোরশেদুল আলম, বীর মুক্তিযোদ্ধা ছিদ্দিকুর রহমান প্রমুখ।
মুনিরীয়া যুব তবলীগ কমিটি বাংলাদেশের উদ্যোগে পবিত্র জশ্নে জুলুছে ঈদে মিলাদুন্নবী (দ.) মাহফিল উপলক্ষে গৃহীত বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যে ছিল- পবিত্র খতমে কোরআন, ঈদে মিলাদুন্নবী (দ.) শীর্ষক সেমিনার, বাদে আছর তরিক্বতের বিশেষ পদ্ধতিতে ফয়েজে কুরআন প্রদানের মাধ্যমে নূরে কুরআন বিতরণ। বাদে নামাজে মাগরিব ফাতেহা শরীফ আদায়, ঈছালে ছাওয়াব, রাসূল পাক (দ.) এর সুন্নাত তরিক্বায় বায়আত (যারা বায়আতের নির্দিষ্ট ছবকপ্রাপ্ত), মোরাকাবা ও জিকিরে গাউছুল আজম মোর্শেদী। বাদে এশা মোর্শেদে আজম মাদ্দাজিল্লুহুল আলীর নূরানি তক্বরির মোবারক, মিলাদ, কিয়াম, আখেরী মোনাজাত এবং তাবাররুক বিতরণ।
মিলাদ ও কিয়াম শেষে প্রধান অতিথি দেশ, জাতি ও বিশ্ব মুসলিম উম্মাহ্র ঐক্য, সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি, অসহায় নির্যাতিত মুসলমানদের হেফাজত এবং দরবারের প্রতিষ্ঠাতা গাউছুল আজম রাদ্বিয়াল্লাহু আন্হুর ফুয়ুজাত কামনা করে বিশেষ মুনাজাত পরিচালনা করেন। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।