মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং আগামী নভেম্বরে অনুষ্ঠেয় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটিক দলীয় প্রার্থী কমলা হ্যারিস এনবিসি’কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, আমেরিকা একজন নারী প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করার জন্য প্রস্তুত।
বহুল প্রতীক্ষিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আর মাত্র দুই সপ্তাহেরও কম সময় বাকি থাকায় ডেমোক্র্যাট দলীয় প্রার্থী হ্যারিস এবং ট্রাম্প উভয়েই ভোটারদের আকৃষ্ট করার জন্য তাদের যথাসাধ্য চেষ্টার সাথে প্রতিযোগিতাও আরো উত্তেজনাপূর্ণ হয়ে ওঠেছে। জাতীয়ভাবে পরিচালিত জরিপ এবং সাতটি গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যে হ্যারিস এবং ট্রাম্পের মধ্যে হাড্ডা–হাড্ডি লড়াই হবে বলে জানা গেছে। খবর বাসসের।
গত মঙ্গলবার এনবিসি নিউজের সাথে এক সাক্ষাতকারে হ্যারিস বলেছেন, আমার ইভেন্টগুলোতে আসুন এবং আপনি দেখতে পাবেন সেখানে পুরুষ এবং মহিলা রয়েছে। তিনি আরো বলেন, বিশ্বে আমার যে অভিজ্ঞতা হচ্ছে তা হলো এটা স্পষ্ট যে কারো লিঙ্গ নির্বিশেষে তারা জানতে চায় তাদের খরচ কমানোর পরিকল্পনা প্রেসিডেন্টের রয়েছে। আমাদের অবস্থানের পরিপ্রেক্ষিতে আমেরিকাকে সুরক্ষিত রাখার পরিকল্পনা ও প্রেসিডেন্টের রয়েছে। হ্যারিস আরো বলেন, তিনি মনে করেন আসন্ন মার্কিন নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কারণ, এটি কেবল পরিবর্তনের জন্য নয়, বরং একটি নতুন যুগের অধ্যায় যাতে পরিষ্কারভাবে বুঝা যায় যে, আমেরিকানরা বিভক্ত নয়।
নির্বাচিত হলে হ্যারিস হবেন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট এবং বারাক ওবামার পর দ্বিতীয় কৃষ্ণাঙ্গ প্রেসিডেন্ট। সাক্ষাতকারের সময় হ্যারিসকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল কেন তিনি তার প্রার্থীতার ইতিহাস তৈরির সম্ভাবনা সম্পর্কে কথা বলছেন না। তিনি এই প্রশ্নটি উড়িয়ে দিয়ে বলেছেন, আচ্ছা, আমি স্পষ্টতই একজন নারী। বেশিরভাগ লোকরা যে বিষয়টির প্রতি সত্যিই যত্নশীল তা হলো আপনি কি কাজটি করতে পারেন এবং আপনার কি আসলেই সেগুলোতে ফোকাস আছে? হ্যারিস আত্মবিশ্বাসের সাথে বলেছেন, তিনি যৌনতাকে থামানোর বিষয়ে উদ্বিগ্ন নন। তিনি বলেছেন, আমার চ্যালেঞ্জ হল আমি যতটা সম্ভব ভোটারের সাথে কথা বলতে এবং শুনতে ও তাদের ভোট পেতে পারি তা নিশ্চিত করা। আমি কখনোই ধরে নেব না যে আমাদের দেশে কেউ তাদের লিঙ্গ বা তাদের বর্ণের ভিত্তিতে একজন নেতা নির্বাচন করবে, পরিবর্তে সেই নেতাকে পদার্থের ভিত্তিতে ভোট অর্জন করতে হবে এবং চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে ও জনগণকে অনুপ্রাণিত করতে তারা কি করবে।