ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনকে পাঁচ লাখেরও বেশি অভিবাসনপ্রত্যাশীর জন্য চালু থাকা একটি অস্থায়ী মানবিক সুরক্ষা কর্মসূচি বাতিলের অনুমতি দিয়েছেন মার্কিন সুপ্রিম কোর্ট। এসব অভিবাসনপ্রত্যাশী হাইতি, কিউবা, নিকারাগুয়া ও ভেনেজুয়েলার নাগরিক।
এই রায়ের ফলে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফেরত পাঠানোর ঝুঁকিতে থাকা অভিবাসনপ্রত্যাশীর সংখ্যা বেড়ে প্রায় ১০ লাখে দাঁড়িয়েছে। এদিনের রায়ের মাধ্যমে নিম্ন আদালতের আগের একটি নিষেধাজ্ঞা বাতিল করা হয়েছে, যা এসব দেশের অভিবাসীদের জন্য ‘হিউম্যানিটারিয়ান প্যারোল’ বাতিল করতে বাধা দিয়েছিল। এর আগে একটি পৃথক রায়ে ট্রাম্প প্রশাসন প্রায় ৩ লাখ ৫০ হাজার ভেনেজুয়েলান নাগরিকের অস্থায়ী আইনি অবস্থান বাতিল করতে পারবে বলে জানানো হয়েছিল। যথারীতি, এই জরুরি রায়ে সুপ্রিম কোর্ট বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেননি। তবে বিচারপতি কেটানজি ব্রাউন জ্যাকসন এবং সোনিয়া সোটোমেয়র রায়ের বিপক্ষে মত দিয়েছেন। বোস্টনের একজন ফেডারেল বিচারক, ইন্দিরা তালওয়ানি, ট্রাম্প প্রশাসনের সিদ্ধান্ত সাময়িকভাবে স্থগিত করেছিলেন। তিনি স্বীকার করেন যে সরকার এই ধরনের প্যারোল বাতিলের অধিকার রাখে, তবে তিনি সেটি ‘ব্যক্তিকেন্দ্রিক মূল্যায়নের ভিত্তিতে’ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু প্রশাসনের যুক্তি ছিল, এসব ক্ষেত্রে ব্যক্তিগতভাবে পর্যালোচনার প্রয়োজন নেই এবং তা অত্যন্ত জটিল ও সময়সাপেক্ষ।
হোয়াইট হাউজের মুখপাত্র অ্যাবিগেইল জ্যাকসন বলেছেন, সিদ্ধান্তটি অভিবাসন আইন ও জননিরাপত্তার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। তবে সমালোচকরা এই রায়কে ‘গণহারে ফেরত পাঠানোর পথ তৈরি’ এবং ‘অভিবাসী সমপ্রদায়ের জন্য ভয়াবহ অনিশ্চয়তার’ কারণ বলে অভিহিত করেছেন। জাস্টিস অ্যাকশন সেন্টারের কারেন টামলিন বলেন, এই সিদ্ধান্তে হাজার হাজার পরিবার ভেঙে পড়বে।
যদিও সুপ্রিম কোর্টের রায়টি চূড়ান্ত নয়, তবে এটি প্রশাসনকে আপাতত বহিষ্কার প্রক্রিয়া শুরু করার সুযোগ দিয়েছে। এই রায়ের ফলে আফগান, ইউক্রেনীয় ও মধ্য আমেরিকার শিশুদের মতো অন্যান্য গোষ্ঠীর জন্য চালু থাকা মানবিক প্যারোল প্রোগ্রামগুলোর ভবিষ্যতও অনিশ্চিত হয়ে উঠেছে।
