ভারতের অন্যতম শীর্ষ ধনী গৌতম আদানির বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রে ঘুষ–জালিয়াতির অভিযোগ আনা হয়েছে। গত বুধবার নিউইয়র্কের একটি আদালতে অভিযোগ করা হয়েছে, তিনি ২৫ কোটি মার্কিন ডলারের ঘুষকাণ্ডে জড়িত এবং বিষয়টি গোপন রেখে যুক্তরাষ্ট্রের বাজার থেকে অর্থও সংগ্রহ করেছেন। এই ঘটনায় গৌতম আদানিকে গ্রেপ্তার করার দাবি তুলেছেন লোকসভার বিরোধী দলীয় নেতা রাহুল গান্ধী। সরাসরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধেও অভিযোগ তুলে রাহুল বলেন, আদানিকে সুরক্ষা দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী।
যুক্তরাষ্ট্র তাদের অভিযোগে উল্লেখ করেছে, আদানি এবং তার শীর্ষ কর্মকর্তারা ভারতের সরকারি কর্মকর্তাদের ঘুষ দিয়ে নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে লাভজনক চুক্তি করেছেন। এই চুক্তিগুলো থেকে ২০ বছরে ২০০ কোটি ডলারের বেশি মুনাফা অর্জনের আশা করা হয়েছে। এছাড়া, আদানি গ্রুপ ৩০০ কোটি ডলারের ঋণ এবং বন্ডও সংগ্রহ করেছে, যার মধ্যে কয়েকটি মার্কিন প্রতিষ্ঠান রয়েছে। তবে, তারা এই প্রক্রিয়ায় মিথ্যা তথ্য সরবরাহ করেছে এবং ঘুষকাণ্ড সংক্রান্ত তদন্তকে বাধাগ্রস্ত করেছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
মার্কিন অ্যাটর্নি ব্রিয়ন পিস বলেছেন, অভিযুক্তরা একটি জটিল ষড়যন্ত্র পরিচালনা করেছেন যাতে ভারতীয় সরকারি কর্মকর্তাদের ঘুষ দিয়ে চুক্তি করতে এবং মার্কিন ও আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীদের বিভ্রান্ত করতে পারেন। তিনি আরও বলেন, আমাদের আর্থিক বাজারের সততা রক্ষার জন্য আমরা আন্তর্জাতিক দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছি। অভিযোগ করা হয়েছে, ঘুষকাণ্ড এগিয়ে নিতে গৌতম আদানি নিজেই একাধিকবার সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করেছিলেন।
ধনকুবের আদানি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবে পরিচিত। দেশটির বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো দীর্ঘদিন ধরে দাবি করে আসছে, আদানি তার রাজনৈতিক সংযোগের মাধ্যমে অনৈতিক সুবিধা আদায় করেছেন। তবে তিনি এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।