যুক্তরাষ্ট্র সফররত ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে হোয়াইট হাউজে রাজকীয় অভ্যর্থনা দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। গত বৃহস্পতিবার এই দুই নেতার মধ্যে বৈঠক হয়। পরে তারা এক সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত হন। সংবাদ সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্র–ভারতের সম্পর্ককে বিশ্বের সবচেয়ে ফলপ্রসূ সম্পর্ক হিসেবে উল্লেখ করেন, যা ইতিহাসের যেকোনো সময়ের চেয়ে শক্তিশালী, ঘনিষ্ঠ ও আরও গতিশীল। খবর বাংলানিউজের।
তিনি উল্লেখ করেন, কীভাবে বিশ্বের শক্তিশালী গণতন্ত্রের এই দুই দেশ জলবায়ু, স্বাস্থ্যসেবা ও মহাকাশের মতো ইস্যুতে সহযোগিতা করে আসছে। তিনি বলেন, মার্কিন–ভারত অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিকাশমান।
উদ্বোধনী বক্তব্যে বাইডেন বলেন, গুরুত্বপূর্ণ যে বিষয়গুলো ভবিষ্যৎকে সংজ্ঞায়িত করবে, সমালোচনামূলক আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক সমস্যা ইস্যুতে আমাদের দুই দেশ একে অন্যের ওপর নির্ভরশীল।
মানবাধিকার ইস্যুতে সমালোচনার মুখে পড়া মোদির পাশে দাঁড়িয়ে বাইডেন জোর দিয়ে বলেন, উভয় গণতন্ত্র যেভাবে কাজ করে, সংবাদপত্র, ধর্মীয় ও অন্যান্য মৌলিক স্বাধীনতা তার মূলে থাকা উচিত।
বাইডেন বলেন, ওভাল অফিসে বৈঠকের সময়ে মোদির সঙ্গে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ বিষয়ে দারুণ আলোচনা হয়েছে, যেখানে মোদি বলেন, বৈষম্যের জন্য একেবারে কোনো স্থান নেই। সাংবাদিকদের কাছ থেকে বিরল প্রশ্ন নেওয়া মোদি দোভাষীর মাধ্যমে বলেন, গণতন্ত্র আমাদের চেতনা। মোদি বলেন, গণতন্ত্র আমাদের শিরায় বইছে। আমরা গণতন্ত্রে বাস করি এবং আমাদের পূর্বপুরুষেরা আসলে এই ধারণার জন্য কথা দিয়ে গেছেন। তিনি বলেন, ভারত প্রমাণ করেছে যে, গণতন্ত্র রক্ষা করা যেতে পারে এবং যখন আমি বলি রক্ষা, তখন এটি শ্রেণী, ধর্ম, ধর্ম, লিঙ্গ নির্বিশেষে। প্রতিরক্ষা, সেমিকন্ডাক্টর উৎপাদন এবং আরও খাতে নতুন অংশীদারত্ব চালু করার জন্য এই দুই নেতা বৃহস্পতিবার আলোচনা করেন। দেশ দুটি নিজেদের গুরুত্বপূর্ণ, যদিও জটিল, সম্পর্ককে শক্তিশালী করতে চায়। মোদির সঙ্গে ওভাল অফিসে বৈঠকের শুরুতে বাইডেন বলেন, তিনি গণতন্ত্র, মানবাধিকার, স্বাধীনতা এবং আইনের শাসনের ওপর ভিত্তি করে অংশীদারত্ব চান।
একাধিক সামরিক সমঝোতা: ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির যুক্তরাষ্ট্র সফরে দুই দেশের মধ্যে একাধিক চুক্তি, সমঝোতা ও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। এরমধ্যে অনেকগুলো সামরিক সমঝোতা হয়েছে। জেনারেল মোটরস ঘোষণা করেছে, তারা হিন্দুস্তান অ্যারোনটিকস লিমিটেড বা হ্যালের সঙ্গে মিলে ভারতে বিমানবাহিনীর জন্য জেট ইঞ্জিন তৈরি করবে। এর আগে যুক্তরাষ্ট্র অন্য দেশকে এই উচ্চ প্রযুক্তি দেয়নি। এই জেট ইঞ্জিন বিমানবাহিনীকে প্রযুক্তিগত দিক থেকে এগিয়ে রাখবে বলে দাবি করা হচ্ছে।