আগামী জাতীয় নির্বাচন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে ঢাকায় এসেছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক–নির্বাচন পর্যবেক্ষক প্রতিনিধিদল। আজ রোববার থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিনিধিদল সফর শুরু করবে। সূত্র জানায়, প্রতিনিধিদলের সদস্যরা দুই ভাগে ঢাকায় আসছেন। শনিবার প্রতিনিধি দলের কয়েকজন সদস্য ঢাকায় পৌঁছেছেন। বাকিরাও রাতেই পৌঁছাবেন। মার্কিন প্রতিনিধিদল সফরের শুরুতেই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যাবে। আগামী ১০ অক্টোবর নির্বাচন কমিশনে বৈঠক করবে। খবর বাংলানিউজের।
যুক্তরাষ্ট্রের অর্থায়নে পরিচালিত ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউট (আইআরআই) ও ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ইনস্টিটিউট (এনডিআই) আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের জন্য এনডিআইয়ের নীতিমালার ঘোষণা অনুযায়ী স্বাধীন ও নিরপেক্ষভাবে একটি যৌথ প্রাক–নির্বাচন মূল্যায়ন মিশন (পিইএএম) পরিচালনা করবে। প্রতিনিধিদলটি ৭–১৩ অক্টোবর বাংলাদেশ সফর করবে। প্রতিনিধি দলে ছয়জন আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ থাকবেন, যার মধ্যে রয়েছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী কার্ল এফ. এন্ডারফার্থ, সাবেক ডেপুটি ইউএসএআইডি প্রশাসক বনি গ্লিক, মালয়েশিয়ার প্রতিনিধি পরিষদের সাবেক সদস্য মারিয়া চিন আবদুল্লাহ, যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতির সাবেক সহযোগী কাউন্সেল জামিল জাফর, এনডিআই এশিয়া–প্যাসিফিক বিষয়ক আঞ্চলিক পরিচালক মনপ্রীত সিং আনন্দ ও আইআরআই’র এশিয়া–প্যাসিফিক ডিভিশনের সিনিয়র ডিরেক্টর জোহানা কাও।
প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন, সরকারি সংস্থা, রাজনৈতিক দল, নাগরিক পর্যবেক্ষক, নারী ও যুব গোষ্ঠীসহ সুশীল সমাজ সংস্থা, বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক মিডিয়া সংস্থা এবং বিদেশি কূটনৈতিক মিশনের সঙ্গে দেখা করবে। সফর শেষে প্রতিনিধিদল একটি বিবৃতি দেবে, যেখানে ইতিবাচক প্রবণতা এবং সেইসঙ্গে উদ্বেগের ক্ষেত্রগুলো তুলে ধরা হবে এবং সুপারিশগুলো দেওয়া হবে।
যদিও পিইএএমের প্রাথমিক কাজ হলো নির্বাচনের প্রস্তুতি এবং নির্বাচনী প্রেক্ষাপটে স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তথ্য দেওয়া। নির্বাচনের দিনের জন্য সীমিত আন্তর্জাতিক নির্বাচন পর্যবেক্ষণ মিশন পাঠাবে কি না, তা–ও এটি নির্ধারণ করবে। এর আগে গত ৮–২৩ জুলাই ঢাকা সফরে করে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রাক–নির্বাচন পর্যবেক্ষক প্রতিনিধিদল।