যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে রিপাবলিকান ডোনাল্ড ট্রাম্পের জয়–জয়কারের মধ্যে ৫ বাংলাদেশি আমেরিকানেরও বিজয় ঘটেছে। তারা হলেন– শেখ মোজাহিদুর রহমান চন্দন, আবুল বি খান, নাবিলা ইসলাম, মো. মাসুদুর রহমান এবং নিউজার্সি প্লেইন্সবরো টাউনশিপের কাউন্সিলম্যান ড. নুরান নবী। তারা সবাই যুক্তরাষ্ট্রে স্টেট পর্যায়ে সর্বোচ্চ পদমর্যাদায় নির্বাচিত প্রতিনিধি। তবে এখন পর্যন্ত কোনো বাংলাদেশি–আমেরিকান ফেডারেল পর্যায়ে নির্বাচিত হতে পারেননি। খবর বিডিনিউজের।
এর মধ্যে নিউ হ্যাম্পশায়ার স্টেটের রিপ্রেজেনটেটিভ হিসেবে সপ্তম মেয়াদের জন্য জয়ী হয়েছেন আবুল বি খান (রিপাবলিকান)। জর্জিয়া স্টেটে সিনেটর হিসেবে দ্বিতীয় মেয়াদের জন্য বিজয়ী হয়েছেন ডেমোক্র্যাট নাবিলা ইসলাম। কানেকটিকাট স্টেট সিনেট ডিস্ট্রিক্ট–৪ থেকে দ্বিতীয় মেয়াদের জন্য জয়ী হয়েছেন ডেমোক্র্যাট মো. মাসুদুর রহমান। অন্যদিকে জর্জিয়া স্টেট সিনেটে কিশোরগঞ্জের শেখ মোজাহিদুর রহমান চন্দন ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রার্থী হিসেবে জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের ডিস্ট্রিক্ট–৫ আসনে বিজয়ী হন। তিনি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী রিপাবলিকান প্রার্থী লিসা ব্যাবেজের চেয়ে ৭০ শতাংশ বেশি ভোট পেয়েছেন। এর আগে একই নির্বাচনি এলাকা থেকে আরও তিনবার সিনেটর নির্বাচিত হন মোজাহিদুর। তার বিজয়ের খবরে জন্মস্থান কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরের মানুষের মধ্যে আনন্দ–উল্লাস ছড়িয়ে পড়েছে।
মোজাহিদুরের ছোট ভাই বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সহ–সভাপতি শেখ মুজিবুর রহমান ইকবাল বলেন, আমার বড় ভাইয়ের বিজয়ে ব্যক্তিগতভাবে আমি, আমার মা, পরিবার ও আত্মীয়–স্বজনসহ এলাকার সবাই আনন্দিত। এটা দেশের মানুষের জন্যই সম্মানজনক। আমার মা বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তিনিও ছেলের জয়ে অত্যন্ত আনন্দিত এবং সৃষ্টিকর্তার কাছে শুকরিয়া আদায় করেছেন। পিরোজপুরের সন্তান আবুল খান রকিংহাম মোট ভোটের ৬৭% পেয়েছেন। অপরদিকে, জর্জিয়া স্টেট সিনেট ডিস্ট্রিক্ট–৫ থেকে কিশোরগঞ্জের সন্তান শেখ রহমান ৬৭.৬% ভোট পেয়েছেন। একই স্টেটের সিনেট ডিস্ট্রিক্ট–৭ থেকে ৫৫% ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন নোয়াখালীর সন্তান নাবিলা ইসলাম। কানেকটিকাট সিনেট ডিস্ট্রিক্ট–৪ থেকে ৬৪.৮% ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন চাঁদপুরের সন্তান মো. মাসুদুর রহমান।
প্রবাসীরা জানান, গাজা–লিবিয়ায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে তারা ডোনাল্ড ট্রাম্পকে বিজয়ী দেখতে চেয়েছিলেন। রিপাবলিকান পার্টির বিজয়ে অর্থনৈতিক সংকট ও অশান্তি থেকে মুক্তি আসবে বলে প্রত্যাশা তাদের।