সঙ্কটে পড়ে জরুরি প্রয়োজন মেটাতে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ৪০ লাখ ডোজ কোভিড-১৯ টিকা চেয়েছে বাংলাদেশ সরকার। অনুরোধ শুনে ঢাকায় দেশটির রাষ্ট্রদূত আর্ল মিলার পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনকে জানিয়েছেন, টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র ‘আন্তরিকতার’ সঙ্গে কাজ করছে। গতকাল বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মন্ত্রী মোমেনের সঙ্গে দেখা করেন মিলার। পরে বৈঠক নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, আমরা চিঠিতে যুক্তরাষ্ট্র থেকে জরুরি ভিত্তিতে ৪ মিলিয়ন টিকা চেয়েছি। যাতে আমাদের দ্বিতীয় ডোজ যাদের বাকি আছে, তাদের টিকা দেওয়া যায়। খবর বিডিনিউজের।
বাংলাদেশ অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রানেজেকার টিকা দিয়ে গত ফেব্রুয়ারিতে গণটিকাদান শুরু করলেও দুই চালানের পর আর দিতে পারেনি এই টিকা উৎপাদনকারী ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট। ফলে সরকার নতুন করে টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া বন্ধ রেখেছে। যে টিকা এখন মজুদ আছে, দ্বিতীয় ডোজও সবার দেওয়া সম্ভব হবে না। এই পরিস্থিতিতে সরকার চীন ও রুশ টিকা আনার তোড়জোড় শুরু করলেও যারা অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছেন, তাদের জন্য ওই টিকার বিকল্প নেই।
যুক্তরাষ্ট্র সমপ্রতি জানিয়েছিল, আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ৬ কোটি ডোজ টিকা তারা বিভিন্ন দেশে পাঠাবে। সঙ্কটে পড়া বাংলাদেশ এখন সেই টিকা থেকে কিছু চাইছে। মোমেন বলেন, আমরা জেনেছি, তাদের কাছে ৬০ মিলিয়নের মতো টিকা পড়ে আছে। আমরা আমাদের দেশে দ্বিতীয় ডোজ সম্পন্ন করতে তাদের কাছে জরুরি ভিত্তিতে টিকা চেয়েছি। এমনিতে ১০ থেকে ২০ মিলিয়ন ডোজ টিকা চেয়েছি। বেশি বলতে তো সমস্যা নেই, যা পাওয়া যায়। প্রতিশ্রুতি কি মিলেছে- জানতে চাইলে তিনি বলেন, রাষ্ট্রদূত জানিয়েছেন, সঠিক দিনক্ষণ দেওয়া যাবে না। কিন্তু এ নিয়ে আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করছেন। যুক্তরাষ্ট্রে ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের তৎপরতার কারণে ওই টিকার বড় অংশ দেশটি পেতে পারে বলে বুধবার জানিয়েছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন।
এ বিষয়ে রাষ্ট্রদূত মিলারের সঙ্গে আলাপের প্রসঙ্গ টেনে গতকাল বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, আমরা বলেছি, আপনারা যখন ভারত বা অন্য দেশে টিকা দেবেন, তার আগে আমাদের দেবেন। আমাদের জরুরি ভিত্তিতে দরকার।