যুক্তরাজ্যের সাধারণ নির্বাচনে এবার রেকর্ড ৩৪ জন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত প্রার্থী লড়াই করছেন, যার মধ্যে একক দল হিসেবে বিরোধী লেবার পার্টি থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন সর্বোচ্চ ৮ জন। বিবিসি জানাচ্ছে, ৩৪ প্রার্থীর মধ্যে বেশিরভাগই এবার প্রথম ভোটে দাঁড়িয়েছেন। তাদের মধ্যে আবার অনেকে গাজা সংকটে লেবার পার্টির অবস্থানের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। ২০১৫ সালে যুক্তরাজ্যে পার্লামেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন ১১ জন ব্রিটিশ–বাংলাদেশি, ২০১৯ সালে সংখ্যাটি বেড়ে হয় ১৪; এবার তা এক লাফে ৩৪ হল। খবর বিডিনিউজের।
আগামী ৪ জুলাই যুক্তরাজ্যের জাতীয় নির্বাচনে ভোটগ্রহণ হবে। দেশটিতে বর্তমান সরকারের মেয়াদ শেষ হওয়ার অন্তত ছয় মাস আগে আগাম নির্বাচনের ঘোষণা দিয়ে সবাইকে চমকে দেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক। এখন চলছে শেষ মুহূর্তের প্রচার।
লেবার পার্টির ওয়েবসাইটে দেখা যাচ্ছে, তাদের প্রার্থী তালিকায় আটজন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত প্রার্থীর মধ্যে ছয়জনই নারী। আর ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির (টোরি) ওয়েবসাইটে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, তারা দুজন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত নাগরিককে এবার প্রার্থী করেছে। অন্যান্য দলের মধ্যে ওয়ার্কার্স পার্টি অব ব্রিটেন থেকে ছয়জন, রিফর্ম ইউকে থেকে একজন, লিবারেল ডেমোক্র্য্যাটস (লিব ডেম) থেকে একজন, স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টি (এসএনপি) থেকে একজন, গ্রিন থেকে তিনজন এবং সোশ্যালিস্ট পার্টি থেকে একজন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত প্রার্থী সাধারণ নির্বাচনে নিজ নিজ দলের টিকেট পেয়েছেন। এই ২৩ জনের বাইরে যুক্তরাজ্যের সাধারণ নির্বাচনে এবার স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন ১১ জন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক।
বিবিসি লিখেছে, মূলত গাজায় ইসরায়েলের হামলা নিয়ে লেবার পার্টি এবং দলটির এমপিদের নীরবতার প্রতিবাদ হিসেবে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত অনেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন।