যা আছে ২৩ শর্তে

| শুক্রবার , ২৮ জুলাই, ২০২৩ at ৫:০৮ পূর্বাহ্ণ

টানটান উত্তেজনার মধ্যে আজ শুক্রবার ঢাকায় সমাবেশ করতে যাচ্ছে বিএনপি এবং আওয়ামী লীগের সহযোগী তিন সংগঠন। আলোচিত এই সমাবেশ দুটি করতে পুলিশ দুই পক্ষকেই ২৩টি শর্ত বেঁধে দিয়েছে। বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীকে পাঠানো চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে তাদের পালনীয় শর্ত ২৩টি। অন্যদিকে যুবলীগের দপ্তর সম্পাদক মোস্তাফিজুর হমান মাসুদকে চিঠি দিয়ে জানান হয়েছে তাদের পালনীয় ২৩ শর্ত। ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনারের পক্ষে স্পেশাল অ্যাসিটেন্ট টু কমিশনার সৈয়দ মামুন মোস্তফার পাঠান দুটি চিঠির ভাষাই এক। খবর বিডিনিউজের। ২৩ শর্ত : . এই অনুমতিপত্র স্থান ব্যবহারের অনুমতি নয়, স্থান ব্যবহারের জন্য অবশ্যই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অনুমোদন নিতে হবে। ২. স্থান ব্যবহারের অনুমতিপত্রে উল্লেখিত শর্তাবলী যথাযথভাবে পালন করতে হবে। ৩. বিএনপিকে পুলিশ হাসপাতালের ক্রসিং থেকে নাইটিঙ্গেল মোড়ের মধ্যবর্তী এলাকায় এবং আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনগুলোকে মহানগর নাট্যমঞ্চ, সার্জেন্ট আহাদ পুলিশ বঙ, ফুলবাড়িয়া ক্রসিং এবং মুক্তাঙ্গনের মাঝের এলাকা ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। অনুমোদিত স্থানেই সমাবেশের যাবতীয় কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখতে হবে। ৪. কোনো অবস্থাতেই অনুমোদিত স্থানের বাইরে কোনো ধরনের জনসমাগম করা যাবে না। ৫. নিরাপত্তার জন্য নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় পর্যাপ্ত সংখ্যক স্বেচ্ছাসেবক (দৃশ্যমান আইডি কার্ডসহ) নিয়োগ করতে হবে। ৬. স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের নির্দেশনা অনুযায়ী নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় সমাবেশস্থলের ভেতরে চারদিকে উন্নত রেজ্যুলেশনযুক্ত সিসি ক্যামেরা স্থাপন করতে হবে। ৭. নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় সমাবেশে আগতদের হ্যান্ড হেন্ড মেটাল ডিটেক্টরের মাধ্যমে (ভদ্রোচিতভাবে) চেকিং এর ব্যবস্থা করতে হবে। ৮. নিজস্ব ব্যবস্থাপনার সমাবেশস্থলে অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা রাখতে হবে। ৯. শব্দ দূষণ প্রতিরোধে সীমিত আকারে মাইকশব্দযন্ত্র ব্যবহার করতে হবে, কোনক্রমেই অনুমোদিত স্থানের বাইরে মাইকশব্দযন্ত্র ব্যবহার করা যাবে না। ১০. অনুমোদিত স্থানের বাইরে প্রজেক্টর স্থাপন করা যাবে না। ১১. আজান, নামাজ ও অন্যান্য ধর্মীয় সংবেদনশীল সময় মাইকশব্দযন্ত্র ব্যবহার করা যাবে না। ১২. ধর্মীয় অনুভূতির উপর আঘাত আসতে পারে এমন কোন বিষয়ে ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শন, বক্তব্য প্রদান, বা প্রচার করা যাবে না।

১৩. সমাবেশের কার্যক্রম ব্যতিত মঞ্চকে অন্য কোনো কাজে ব্যবহার করা যাবে না। ১৪. সমাবেশ শুরুর দুই ঘণ্টা আগে লোকজন সমবেত হওয়ার জন্য আসতে পারবে। ১৫. অনুমোদিত (২টা থেকে ৫টা) সময়ের মধ্যে সমাবেশের সার্বিক কার্যক্রম শেষ করতে হবে। ১৬. কোনো অবস্থাতেই মূল সড়কে যানবাহন চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা যাবে না । ১৭. আইনশৃঙ্খলা পরিপন্থি ও জননিরাপত্তা বিঘ্নিত হয় এমন কার্যকলাপ করা যাবে না। ১৮. রাষ্ট্রবিরোধী কোনো কার্যকলাপ ও বক্তব্য প্রদান করা যাবে না। ১৯. উসকানিমূলক কোনো বক্তব্য প্রদান বা প্রচারপত্র বিলি করা যাবে না। ২০. কোনো ধরনের লাঠিসোঁটা বা ব্যানারফেস্টুন বহনের আড়ালে লাঠি, রড ব্যবহার করা যাবে না। ২১. আইনশৃঙ্খলার অবনতি ও কোনো বিরুপ পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে আয়োজনকারী কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে। ২২. উল্লেখিত শর্তাবলী যথাযথভাবে পালন না করলে তাৎক্ষণিকভাবে এই অনুমতির আদেশ বাতিল বলে গণ্য হবে। ২৩. জনস্বার্থে কর্তৃপক্ষ কোনো কারণ দর্শানো ব্যতিরেকে এই অনুমতি আদেশ বাতিল করার ক্ষমতা সংরক্ষণ করেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশে যোগ দিবেন চট্টগ্রামের ১৫ হাজারের অধিক নেতাকর্মী
পরবর্তী নিবন্ধদুই দলকেই ২৩ শর্তে সমাবেশের অনুমতি