যারা গণতন্ত্রের পথে বাধা সৃষ্টি করছে তারাও পালাবে : শাহাদাত

আজাদী প্রতিবেদন | সোমবার , ১৮ আগস্ট, ২০২৫ at ৮:৪০ পূর্বাহ্ণ

এখনো যারা দেশের গণতন্ত্রের পথে বিভিন্ন বাধা তৈরি করছে তারাও শেখ হাসিনার মতো পালিয়ে যাবেন বলে দাবি করেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. শাহাদাত হোসেন। তিনি বলেন, ২০০৭ সালের একএগারোর সময় যখন শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছিলেন, তখন খালেদা জিয়া স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছিলেন, ‘চিকিৎসা নিতে হলে দেশে নেব, মরতে হলে এখানেই মরব, বাংলাদেশের মানুষকে ফেলে বিদেশে যাব না।’ তার আপোষহীন অবস্থানের কারণেই বিদেশি মহল চাপ সৃষ্টি করেও ‘মাইনাস টু’ ফর্মুলা বাস্তবায়ন করতে পারেনি। গত ১৬ বছর এত নির্যাতনের পরও খালেদা জিয়া দেশ ছাড়েননি। কিন্তু স্বৈরশাসক হাসিনা ঠিকই পালিয়েছেন। একইভাবে যারা গণতন্ত্রের পথে বাধা সৃষ্টি করছে তারাও পালাবে।

গতকাল রোববার বিকালে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের ইঞ্জিনিয়ার আবদুল খালেক মিলনায়তনে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার ৮০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে চট্টগ্রাম কলেজ ও মহসিন কলেজ সাবেক ছাত্রদল ফোরামের দোয়া মাহফিল ও এতিমদের মাঝে খাদ্য বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের আশু রোগমুক্তি, দীর্ঘায়ু ও সুস্বাস্থ্য কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এরপর এতিম শিশুদের মাঝে খাদ্য বিতরণ করা হয়।

সিটি মেয়র বলেন, দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও জনগণের অধিকার রক্ষা করতে গিয়ে স্বৈরশাসকের মিথ্যা মামলায় জুলুম নির্যাতনের শিকার হলেও বেগম খালেদা জিয়া ছিলেন আপোষহীন। গণতন্ত্র রক্ষায় তার সংগ্রামী মনোভাবের জন্যই তিনি বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধকালীন থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত বারবার জীবনের ঝুঁকি নিয়ে খালেদা জিয়া দেশের মানুষের পাশে থেকেছেন। তিনি কখনো আপোষ করেননি। জুলুম নির্যাতনের শিকার হয়েছেন, এমনকি জেল খেটেছেন। কিন্তু জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষার আন্দোলন থেকে এক চুলও পিছিয়ে আসেননি।

শাহাদাত বলেন, গণতন্ত্রের পক্ষে লড়াই করতে গিয়ে শেখ হাসিনার অবৈধ শাসনামলে খালেদা জিয়ার জীবন বিপন্ন হয়েছে। কারাগারে থাকার কারণে তার কিডনি ও লিভারের মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে। তারপরও তিনি দেশের মানুষের অধিকার রক্ষার আন্দোলন থেকে সরে আসেননি। এজন্যই তিনি স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্রের প্রতীক।

তিনি বলেন, রাজনৈতিক প্রতিটি টালমাটাল সময়ে বেগম খালেদা জিয়া সাহসিকতার সাথে জনগণকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। আশির দশকে এরশাদবিরোধী আন্দোলনে তার আপোষহীন ভূমিকার কারণেই বিএনপি জনগণের আস্থা অর্জন করে ১৯৯১ সালে ক্ষমতায় আসে। প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনকালে তিনি যে দক্ষতা ও সততার পরিচয় দিয়েছেন, তা স্বাধীনতার পর থেকে অন্যতম সেরা শাসনামল হিসেবে ইতিহাসে জায়গা করে নিয়েছে।

চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক মো. কামরুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক আবু বক্কর শিকদার ও মহসিন কলেজ ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক ইয়াকুব আলী সিফাতের সঞ্চালনায় এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক একরামুল করিম, মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর ও সিডিএর বোর্ড মেম্বার জাহিদুল করিম কচি।

বক্তব্য রাখেন মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এম এ আজিজ, কাজী বেলাল উদ্দিন, হারুন জামান, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, আহমেদুল আলম চৌধুরী রাসেল, জয়নাল আবেদীন জিয়া, খোরশেদ আলম, গাজী মো. সিরাজ উল্লাহ, মামুনুল ইসলাম হুমায়ুন, মশিউল আলম স্বপন, মোশারফ হোসেন ডিপটী, ইসমাইল বালি, জাকির হোসেন, শামসুল আলম, মোহাম্মদ ইদ্রিস আলী, এড. মঈনুদ্দিন, এস এম মফিজ উল্লাহ, মোশারফ জামাল, মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক, হাসান উসমান চৌধুরী, গোলাম মনছুর, মো. সালাউদ্দীন, আলিফ উদ্দিন রুবেল, নজরুল ইসলাম, সামিয়াত আমিন জিসান, সালাউদ্দিন কাদের আসাদ, আনোয়ার হোসেন, গিয়াস উদ্দিন আবিদ, দিদারুল আলম, রেজাউল করিম, ঈমাম হোসেন আবির, মো. ইউনুস, রমিজ উদ্দিন, শহীদুল্লাহ ফয়সাল, গিয়াস উদ্দিন সারজিল, জাহাঙ্গীর আলম, বোরহানুল হক, মোস্তাফিজুর রহমান, জুনাইদ রাসেল, শরিফুল ইসলাম আবির, মন্‌জুর আলম ও মো. শোয়াইব।

পূর্ববর্তী নিবন্ধজেলেনস্কির সঙ্গে ট্রাম্পের বৈঠক আজ, থাকবেন ইউরোপীয় নেতারাও
পরবর্তী নিবন্ধআইনশৃঙ্খলা নিয়ে দুশ্চিন্তার কিছু দেখছে না বিএনপি