ফটিকছড়ি উপজেলার নানুপুর ইউনিয়নে সংযোগ সড়ক ছাড়াই নির্মিত ব্রিজ নিয়ে দৈনিক আজাদী পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর অবশেষে কর্তৃপক্ষের টনক নড়েছে। খবর প্রকাশের কয়েক দিনের মধ্যেই ইতিমধ্যে ব্রিজের দু’পাশে মাটি ভরাট করে সেটিকে চলাচল উপযোগী করা হয়েছে। এতে দীর্ঘদিনের দুর্ভোগ থেকে মুক্তি পেয়েছেন এলাকাবাসী।
এর আগে প্রায় এক বছর ধরে তিনঘরিয়া পাড়া খালের উপর নির্মিত ব্রিজটি সংযোগ সড়ক না থাকায় অচল অবস্থায় পড়ে ছিল। সিড়ি দিয়ে উঠে ব্রিজটি পায়ে হেঁটে পার হতে হতো। এলাকার প্রায় ৪ হাজার মানুষ, বিশেষ করে স্কুল–কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা বালির বস্তা দিয়ে তৈরি অস্থায়ী সিঁড়ি বেয়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে যাতায়াত করতে বাধ্য হচ্ছিলেন এতদিন। সংবাদ প্রকাশের পর উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ দ্রুত উদ্যোগ গ্রহণ করে। ব্রিজের উভয় পাশে প্রয়োজনীয় মাটি ভরাট করে সংযোগ সড়ক নির্মাণের কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। বর্তমানে ব্রিজ দিয়ে স্বাভাবিকভাবে পায়ে হাঁটা ও যানবাহন চলাচল শুরু হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা আহমদ রশিদ বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আমরা খুব কষ্টে ছিলাম। সংবাদ প্রকাশ না হলে হয়তো আমাদের দুর্ভোগের কথা কেউ শুনত না। এখন ব্রিজটি ব্যবহার করা যাচ্ছে এতে আমরা সবাই খুশি। ফয়সাল নামের এক শিক্ষার্থী জানান, আগে ব্রিজ পার হতে ভয় লাগত। এখন নিরাপদে স্কুলে যাতায়াত করতে পারব।
নানুপুর ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তহিদুল আলম বলেন, বর্ষাকাল ও কিছু বাস্তব জটিলতার কারণে আগে কাজ শেষ করা সম্ভব হয়নি। সংবাদ প্রকাশের পর উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশনায় দ্রুত উদ্যোগ নেওয়া হয়। বর্তমানে এলাকাবাসী নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারছে, যা আমাদের জন্যও স্বস্তির।
ফটিকছড়ি উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. আবু নাসের বলেন, দৈনিক আজাদীতে সংবাদ প্রকাশের পর বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদের সঙ্গে সমন্বয় করে দ্রুত ব্রিজের দু’পাশে মাটি ভরাট ও সংযোগ সড়ক নির্মাণের কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। এখন ব্রিজটি সম্পূর্ণভাবে চলাচল উপযোগী। কিছুদিন পর ব্রিজের সংযোগের ব্রিক–সলিনের কাজও সম্পন্ন করা হবে বলে জানান তিনি।
উল্লেখ্য, ২০২৩–২৪ অর্থবছরে ১৫ মিটার দৈর্ঘ্য পর্যন্ত সেতু কালভার্ট নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় প্রায় ৩০ লাখ টাকা ব্যয়ে ৭.৯৩ মিটার দৈর্ঘ্যের ব্রীজটি নির্মাণ করা হয়। তবে সংযোগ সড়ক না থাকায় শুরু থেকেই এটি বিতর্কের সৃষ্টি করে।
এ বিষয়ে ফটিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাঈদ মোহাম্মদ ইব্রাহীম বলেন, মানুষের ভোগান্তির বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এখন ব্রিজটি পুরোপুরি চলাচল উপযোগী।











