যন্ত্রসংগীতানুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, যন্ত্রসংগীত শুধু বিনোদনের মাধ্যম নয়, এটি সৃজনশীল শিল্প যা মানুষের অনুভূতির গভীরতম স্তরকে স্পর্শ করে। আধুনিক প্রযুক্তির সঙ্গে যন্ত্রসংগীতের সমন্বয়ে নতুন ধারা সৃষ্টি হয়েছে, যা তরুণ প্রজন্মকে সঙ্গীতচর্চায় উৎসাহিত করছে। যন্ত্রসংগীত সংস্কৃতির বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে এবং এটি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে দেশের সঙ্গীত ঐতিহ্য তুলে ধরতে সহায়ক। সংগীত মানব হৃদয়ে সৃষ্টির আনন্দ জাগায়, আত্মার গভীরে ছুঁয়ে যায়। যন্ত্রসংগীত আমাদের সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ, যা প্রজন্মের পর প্রজন্মকে ঐক্যবদ্ধ রাখে। এ ধরনের আয়োজন শিল্পচর্চা ও সৃজনশীলতাকে উৎসাহিত করে। সুরমেলা সাংস্কৃতিক চর্চা কেন্দ্রের ৩৫ বছরপূর্তি উপলক্ষে যন্ত্রসংগীতানুষ্ঠান গত ১১ এপ্রিল চট্টগ্রাম থিয়েটার ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে যন্ত্রসংগীতানুষ্ঠান, সুরমঞ্জরি ও ইন্সট্রুমেন্টাল ড্রামা ‘সাগর সঙ্গমে’ অনুষ্ঠানের আলোচনা সভায় বক্তারা একথা বলেন। আলোচক ছিলেন– গিটার শিল্পী ডা. বাবুল কান্তি সেনগুপ্ত, নাট্যব্যক্তিত্ব জোবায়দুর রশীদ, চবি শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট পরিচালক প্রফেসর ড. উদিতি দত্ত, চবি সহযোগী অধ্যাপক নাছিমা পারভিন, ডা. মো. নওশাদ খান, কুন্ডেশ্বরী ঔষধালয়ের পরিচালক বাসুদেব সিন্হা, সোনালী ব্যাংকের এজিএম রাজন কান্তি দাশ, বাংলাদেশ গিটার শিল্পী সংস্থা, ঢাকার সভাপতি নাহার আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক খালিদ খলিল, আমিনুল হক মনা, নাসরিন জাহান, রাণী রহমান, দুলাল কান্তি দে, তপন ভট্টাচার্য্য প্রমুখ।
সঞ্চালনায় ছিলেন নাছিমা পারভীন, উত্তম দাশ প্রতিমা দাশ ও সুমি চৌধুরী। যন্ত্রসঙ্গীতানুষ্ঠানের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। সুরমেলার পরিচালক সানু দাশগুপ্তের দিক নির্দেশনায় সংগীত পরিচালনায় ছিলেন সানু দাশগুপ্ত। অনুষ্ঠান পরিকল্পনা ও তত্ত্বাবধানে ছিলেন বিশুতোষ তালুকদার। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।