যন্ত্রণা নিয়েই মহাকাশে যাচ্ছেন ক্যান্সার জয়ী হেলে

| বুধবার , ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ at ৭:৫৮ পূর্বাহ্ণ

দুরারোগ্য হাড়ের ক্যান্সারে কাবু হয়ে পড়ার ১৯ বছরের মাথায় মহাকাশে পাড়ি দিচ্ছেন হেলে আরসেনোয়াঙ। মাত্র ২৯ বছর বয়সে। এর আগে এত কম বয়সে আমেরিকার আর কেউই যাননি মহাকাশে। হেলে নিজেই দিয়েছেন এই সুখবর।
তিনি আর কয়েক মাসের মধ্যে চড়বেন স্পেস-এঙের মহাকাশযানে। পৃথিবীর একের পর এক কক্ষপথে প্রদক্ষিণ করতে। তার সঙ্গী হবেন বিশিষ্ট উদ্যোক্তা জারেড আইজ্যাকম্যান ও আরও দু’জন। হেল-সহ ৪ জনকে দিয়েই প্রথম ব্যক্তিগত মহাকাশ ভ্রমণ অভিযান শুরু করতে চলেছে এলন মাস্কের স্পেস-এঙ। ৪ জনকেই মহাকাশে যেতে হচ্ছে নিজেদের পয়সা খরচ করে।
মাত্র ১০ বছর বয়সে হাঁটুতে ক্যান্সার হয়েছিল টেনেসির বাসিন্দা হেলের। দীর্ঘ দিন ধরে তার চিকিৎসা হয়েছিল মেম্ফিসের সেন্ট জুড চিলড্রেন্স রিসার্চ হসপিটালে। অস্ত্রোপচার করে বাদ দিতে হয়েছিল হাঁটু। অন্য জনের হাঁটু জুড়তে হয়েছিল তার শরীরে। বাঁ দিকের থাইয়ে বসাতে হয়েছিল টাইটানিয়াম ধাতু দিয়ে বানানো রড। এই হাসপাতালেই এখন মেডিক্যাল অ্যাসিস্টান্টের কাজ করেন হেলে।
হেলে বলেছেন, ‘এখনও আমার বাঁ দিকের থাই আর হাঁটুতে খুব যন্ত্রণা হয়। আমি সেই যন্ত্রণা সহ্য করতে করতেই মহাকাশে যাওয়ার মতো ঝুঁকি ও ধকল নিতে শিখে গিয়েছি।’ জানিয়েছেন, অল্প বয়সে যারা দুরারোগ্য ক্যান্সারে আক্রান্ত, এই মহাকাশ ভ্রমণের মাধ্যমে তিনি তাদেরও আশার আলো দেখাতে চান। স্পেস-এঙের তরফে জানানো হয়েছে মহাকাশে গিয়ে হেল তার সফরসঙ্গী বাকি তিন জনের মেডিক্যাল অফিসার হিসাবে কাজ করবেন।
‘নির্বাচিত হয়েছেন’, এ কথা জানিয়ে জানুয়ারিতে হেলের কাছে ফোন এসেছিল স্পেস-এক্সের তরফে। হেল তখন ছিলেন মেম্ফিসে। জানতে চাওয়া হয়েছিল ‘আপনি কি যেতে চান মহাকাশে?’ হেল সঙ্গে সঙ্গে জবাব দিয়েছিলেন, ‘হ্যাঁ, হ্যাঁ। কেন নয়? আমি উদগ্রীব হয়ে রয়েছি মহাকাশে যাওয়ার জন্য।’ হেলে জানিয়েছেন, ওই ফোন পাওয়ার পরেই সুখবরটি প্রথম দিয়েছিলেন লুইজিয়ানায় তার মা-কে। তার পর ফোন করে খবরটি দিয়েছিলেন তার ভাই ও দুই অ্যারোস্পেস ইঞ্জিনিয়ার ভগ্নিপতিকে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধনিউজিল্যান্ডে সফরে গেল বাংলাদেশ দল
পরবর্তী নিবন্ধকুখ্যাত মাদক মাফিয়ার স্ত্রী গ্রেফতার