যন্ত্রণাময় মৃত্যু দিতেই রবিউলকে জীবিত বস্তাবন্দি করা হয়

| বুধবার , ২ আগস্ট, ২০২৩ at ৬:২৬ পূর্বাহ্ণ

ফিল্মি স্টাইলে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে হাতপা বেঁধে নৃশংস নির্যাতনের পর যন্ত্রণাময় মৃত্য নিশ্চিত করতে জীবিত অবস্থায় বস্তাবন্দি করে মহাসড়কের পাশের একটি পুকুরে ফেলে দেওয়া হয়েছিল মো. রবিউলকে। তাকে তুলে নেওয়া থেকে শুরু করে হত্যা অবধি ঘটে যাওয়া ঘটনাটি তোলপাড় সৃষ্টি করেছে আশুলিয়ায়।

নিহত রবিউল (২২) আশুলিয়ার গাজীরচট চারালপাড়া এলাকার মো. আলতাফের ছেলে। তিনি আশুলিয়ার ইউনিক বাসস্ট্যান্ড এলাকার একটি পোশাক কারখানায় সাবকন্টাক্ট্রর হিসেবে কাজ করতেন। খবর বাংলানিউজের।

জানা গেছে, ২৭ জুলাই সন্ধ্যার দিকে রবিউল রিকশাযোগে কোথাও যাচ্ছিলেন। এ সময় রিকশাটি স্থানীয় আলম ভূইয়ার ছেলে ইশতিয়াকের মোটরসাইকেলে ধাক্কা লাগে। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে তর্কাতর্কি হয়। একপর্যায়ে রবিউলের স্থানীয়ভাবে পরিচিত হুরমুজ আলীর ছেলে সোহাগ তার পক্ষ নিয়ে ইশতিয়াককে চড়থাপ্পড় দেন।

এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাত ৯টার দিকে সোহাগ ও ভূইয়া পরিবারের মধ্যে কয়েক দফা মারামারি করে। প্রথম ধাপে ভূইয়া পরিবারের লোকজন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পরে ভূইয়া গ্রুপ সোহাগের বাড়িতে হামলা করে। ওই ঘটনায় সোহাগকে প্রধান ও রবিউলকে দ্বিতীয় আসামি করে আশুলিয়া থানায় মামলা হয়। মূলত ক্ষোভের বশেই রবিউলকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে ভূইয়া পরিবারের লোকজন।

কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, ভাড়ারিয়া বাজার এলাকার রাস্তায় পুকুরের পাশে একটি গাড়ি থেকে বস্তা ফেলা হয়। তারা বস্তাটিকে নড়তে দেখেন। পরে সেটির মুখ খুলে রবিউলকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখেন তারা। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল।

ধামরাই থানার উপপরিদর্শক (এসআই) পান্নু মিয়া জানান, তারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেঙ থেকে নিহতের মরদেহে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠান। রবিউলের শরীরে আঘাতের অনেক চিহ্ন ছিল। তার দুই পা ভেঙে ফেলা হয়েছে। এক পা ও হাতের রগ কেটে ফেলা হয়েছে। এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, রবিউলকে অনেকটা ফিল্মি স্টাইলে রাস্তা থেকে তুলে নিয়েছিল দুর্বৃত্তরা। পূর্ব বিরোধের জের ধরে যন্ত্রণাময় মৃত্যু দিতে রবিউলকে জীবিত বস্তাবন্দি করা হয়। মূল উদ্দেশ্যই ছিল হত্যা। এ ঘটনায় পরে মামলা হয়। পুলিশ বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধঅনন্য শিল্পী লিওনার্দো দা ভিঞ্চি
পরবর্তী নিবন্ধবাবুল চিশতীর সর্বোচ্চ শাস্তি চায় দুদক