শৈশব আর ক্যারিয়ারের শুরুর সময়টা পাকিস্তানে কাটলেও স্বাধীনতার পর বাংলাদেশে ফিরেছিলেন রুনা লায়লা, ১৮ ভাষায় হাজারো গান গেয়ে ছড়িয়ে দিয়েছেন সংগীতের দ্যুতি, গানে গানে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে সমাদৃত হলেও বাংলাদেশেই প্রাণ খুঁজে পেয়েছেন কিংবদন্তী এই শিল্পী। নিজের ৭০তম জন্মদিনে তিনি বললেন, কখনও বাংলাদেশ ছাড়া অন্য কোনো দেশে বসবাসের কথা ভাবিনি। আমার মনে হয় আমি এখান থেকেই যথেষ্ট পেয়েছি। সবচেয়ে বড় কথা, শ্রোতাদের থেকে যে ভালোবাসা ও সম্মান পেয়েছি, সেটাই আমার বড় পাওয়া। এর থেকে বেশি কিছু চাওয়ার নেই আমার। খবর বিডিনিউজের।
১৯৫২ সালের ১৭ নভেম্বর তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের সিলেটে জন্ম হয় জনপ্রিয় এই শিল্পীর। বাবা সৈয়দ মোহাম্মদ এমদাদ আলী ছিলেন সরকারি কর্মকর্তা এবং মা আমেনা লায়লা ছিলেন সংগীত শিল্পী। মামা সুবীর সেনও ভারতের প্রখ্যাত শিল্পী। বাবার বদলির চাকরির কারণে আড়াই বছর বয়সে পরিবারের সঙ্গে রাজশাহী থেকে পাকিস্তানের মুলতানে চলে গিয়েছিলেন। শৈশব কাটে পাকিস্তানের লাহোরে। সেখানেই উচ্চাঙ্গ সংগীতে দীক্ষা নেন ওস্তাদ হাবিব উদ্দিন খান ও আবদুল কাদের পিয়ারাংয়ের কাছে। গজলে দীক্ষা পান পণ্ডিত গোলাম কাদিরের (মেহেদি হাসানের ভাই) কাছে।
গান দিয়ে জীবনের যাত্রা আর প্রাপ্তির কথা স্মরণ করে সাতবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারজয়ী শিল্পী বলেন, আমি ১২ বছর বয়সে গান গাওয়া শুরু করেছি। তখন ভাবিনি এত কিছু পাব। এটা ধীরে ধীরে হয়েছে। ১৯৭৪ সালের জানুয়ারিতে আমি বাংলাদেশে আসি। ৭৪ সালের নভেম্বরে ইনডিয়ান কালচারাল সেন্টার ফর রিলেশন্সের আমন্ত্রণে ভারতে যাই। সেখানে তিনটি অনুষ্ঠান করেছিলাম। দিল্লি, মুম্বাইতে অনেক শিল্পী, সংগীত পরিচালকদের সঙ্গে দেখা হল। সবাই একটাই কথা বললেন, তারা আমার গান আগে শুনেছেন। যখন আমি পাকিস্তানে সিনেমায়, রেডিওতে গান করেছি, তারা সেসব গান শুনেছেন। আমার গলা তাদের পরিচিত।