নগরের হেমসেন লেন এলাকায় পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়া এবং যথাযথ প্ল্যান না নিয়ে অবৈধভাবে বহুতল ভবন নির্মাণ করার অভিযোগের প্রেক্ষিতে ঘটনাস্থল ও সিডিএতে অভিযান পরিচালনা করেছে দুদক। গতকাল বুধবার দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম–১ এর উপপরিচালক মো. নাজমুচ্ছায়াদাতের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানকালে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ থেকে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট প্রয়োজনীয় রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করা হয়েছে।
দুদকের পর্যালোচনায় দেখা যায়, আবেদনকারীর আবেদনের উপর ভিত্তি করে ঘটনাস্থল পরিদর্শন ব্যতিরেকে ১০ তলা ভবন নির্মাণের জন্য সিডিএর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ল্যান্ড ইউটিলিজেশন ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট (এলইউসি) প্রদান করেন। এরই ধারাবাহিকতায় নকশা অনুমোদনকারী বিভাগ নিয়মের তোয়াক্কা না করে নকশা অনুমোদন প্রদান করেছেন, প্রাথমিকভাবে অভিযান পরিচালনাকারী টিমের কাছে এমনটা প্রতীয়মান হয়েছে।
প্রাপ্ত তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে এনফোর্সমেন্ট টিম কমিশন বরাবর বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিল করবে জানিয়ে অভিযান পরিচালনাকারী দুদক কর্মকর্তা সহকারী পরিচালক মো. এমরান হোসেন দৈনিক আজাদীকে বলেন, নগরীতে কেউ বাড়ি করতে চাইলে সিডিএ থেকে এলইউসি সার্টিফিকেট নিতে হয়। কেউ যদি এই সার্টিফিকেট নিতে আবেদন করেন তাহলে সিডিএর জায়গা পরিদর্শন করতে হয়। জায়গাটা কী অবস্থায় আছে তা দেখতে হবে। সেখানে রাস্তা কতটুকু রয়েছে তা দেখতে হবে। দেখার পর যদি উপযুক্ত মনে করে তাহলে সিডিএ অনুমোদন দিবে। এখানে আমরা দেখতে পাচ্ছি, এলইউসি সার্টিফিকেট দেওয়ার সময় জায়গা পরিদর্শন করা হয়নি। শুধুমাত্র আবেদন দেখেই এ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। পরবর্তীতে প্ল্যান পাস করার সময়ও জায়গা পরিদর্শন করা হয়নি। বরং মিথ্যা পরিদর্শন দেখানো হয়েছে এবং প্ল্যান অনুমমোদন করা হয়। ১০ তলা ভবন করার জন্য জায়গার সামনে ৬ মিটার রাস্তা থাকতে হয়। কিন্তু দেখা গেছে ৫ মিটার জায়গা রয়েছে। সরেজমিন পরিদর্শন ও সিডিএ থেকে প্রাপ্ত নথিপত্রে এ বিষয় স্পষ্ট হয়েছে।
এ কাজটি পুরোপুরিভাবে বেআইনিভাবে করা হয়েছে জানিয়ে দুদক কর্মকর্তা এমরান হোসেন বলেন, সার্বিক বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আমরা অথরিটির কাছে লিখব। দুদক সূত্র জানায়, হেমসেন লেন এলাকায় পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়া এবং যথাযথ প্ল্যান না নিয়ে অবৈধভাবে বহুতল ভবন নির্মাণ করার অভিযোগটি দুদকের কাছে করেন আবু তাহের চৌধুরী নামের এক ব্যক্তি। তিনি এতে উল্লেখ করেন, হেমসেন লেন পুকুর ভরাট করে ১০ তলা এ ভবন নির্মাণের জন্য সিডিএ থেকে নকশা হাসিল করা হয়। এ পুকুরে নিকট অতীতে মৎস্য চাষ হতো এবং এলাকার লোকজন পুকুরটি ব্যবহার করতেন।