প্রিয় মানুষটার সাথে কখনো ব্যস্ততা দেখাতে নেই, অবজ্ঞা করতে নেই, তার আহ্বান উপেক্ষা করার অবকাশও নেই! ব্যস্ততার প্রেক্ষিতে অন্তত মেসেজ দিয়ে জানিয়ে দেয়া উচিৎ নিজের ব্যস্ততার কথা এবং ফ্রী হলেই যোগাযোগ করার ব্যাপারটা। এটুকু অবশ্যই প্রিয়জনটি প্রত্যাশা করে, পাওয়ার অধিকার রাখে এবং ডিজার্ভ করে। ভালোবাসাই তাকে এ অধিকারটি দিয়ে দেয়। কখনো ইগনোর করে ফোন কেটে দিলে, মেসেজ না করলে, মানুষটা ভীষণ কষ্ট পায় এটা ভাবনায় থাকা কমনসেন্স! একজন অনুভূতিশীল প্রেমিক হৃদয় এই বোধটুকু নিশ্চয়ই ধারণ করে, বিবেচনায় রাখে এবং উপযুক্ত সংবেদনশীলতা অবলম্বন করে। দিনে একটি ফোন কল কিংবা ন্যূনতম একটি মেসেজের প্রত্যাশা নিশ্চয়ই সে করতে পারে, যে ভালোবাসে! এটা বুঝতে হলে নিশ্চয়ই ভালোবাসা বা প্রেম বিষয়ে বিশেষজ্ঞ হতে হয় না!
কেবল ভালোবাসি বললেই ভালোবাসা হয়ে যায় না, কর্তব্য সম্পাদন হয়ে যায় না! ভালোবাসা গুরুত্ব দাবী করে।
প্রিয়জনের স্থান নিজের অস্তিত্বের অনেকখানি জুড়ে থাকুক এটাই বাঞ্ছনীয়। পারস্পরিক যত্নশীলতা সম্পর্কের গুরুত্ব বাড়িয়ে দেয়। সম্পর্কের বুননটিকে মজবুত রাখে। দু‘পক্ষের হৃদ্যতাপূর্ণ অনুভব এবং সেই অনুপাতে যথাযথ আচরণ তাতে ভারসাম্যতা প্রদান করে।
তাই একে অপরকে যথাযথ সময় দিতে হয়, প্রাধান্য দিতে হয়, যত্ন করে আগলে রাখতে জানতে হয়। সবচেয়ে বড় কথা হলো, স্থান–কাল–পাত্র ভেদে পার্থিব অন্য অনেক কষ্ট সহ্য করা গেলেও প্রিয় মানুষটির অবহেলা সহ্য করা দুঃসাধ্য বা অসহনীয় হয়ে যায়। তাই একে অপরের প্রতি সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতি ধরে রাখাটা ভীষণ জরুরি।
সব কথার সারমর্ম এই যে, ভালোবাসা কিংবা বন্ধুত্ব হলো সেই সুতোটি যেটা অনাদরে কাটতে দেয়া যাবে না। সম্পর্কটি বিনি সুতোর মালা নয়, ফুলের পর ফুল দিয়ে যত্ন দিয়ে গাঁথা দু‘টি অভিন্ন হৃদয়ের একটি সংবেদনশীল মালা। তাই অবহেলায় মালাটিকে যেমনি ছিঁড়ে ফেলা যাবে না তেমনি ভালোবাসার প্রিয় গানটিকেও বেসুরো হতে দেয়া যাবে না! অযথা খামখেয়ালিপনায় পারস্পরিক সমঝোতার মাঝে তাল–লয়ের গরমিলও হতে দেয়া যাবে না!
যথাযথ যত্ন দিলে যেমন চারাগাছ মহীরুহ হয়ে যায়, ভালোবাসাটাও তেমনি! আদরে, যত্নে, আন্তরিকতায় আগলে রেখে একটির উপর আরেকটি ইটের গাঁথুনিতে প্রেমের তাজমহল না হোক অন্তত সুখের সাম্পানে ঘর বেঁধে একটি প্রেমময় জীবনে যুগলবন্দী হওয়া সম্ভব! তাই যত্নে গড়ি সম্পর্কের বুনন,যত্নে গড়ি ভালোবাসার দৃঢ় বন্ধন।