চট্টগ্রাম মহানগরীর অন্যতম নান্দনিক যতীন্দ্র মোহন সেনের বাড়ি প্রত্ত্নসম্পদ হিসাবে অধিগ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু করেছে সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তর। চট্টগ্রাম ইতিহাস সংস্কৃতি গবেষণা কেন্দ্রের উদ্যোগে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের বরাবরে আবেদনের প্রক্ষিতে ভবনটি প্রত্নসম্পদ হিসাবে সংরক্ষণের জন্য গতকাল প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগ কুমিল্লার আঞ্চলিক পরিচালক ড. মোছাঃ নাহিদ সুলতানার নেতৃত্বে চার সদস্যের একটি দল ভবনটি পরিদর্শন করেছেন। পরিদর্শন শেষে ড. সুলতানা বলেন, পরিদর্শন শেষে দ্রুত প্রতিবেদন দিতে মহাপরিচালকের কার্যালয় থেকে নির্দেশনা রয়েছে। আমাদের প্রতিবেদন প্রদানের পর দ্রুত ভবনটি সংরক্ষণের বিষয়ে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।
প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর দলকে ভবনটি প্রয়োজনীয় তথ্য উপাত্ত দিয়ে সহযোগিতা করেন, সিনিয়র সাংবাদিক লেখক আবুল মোমেন, চট্টগ্রাম ইতিহাস সংস্কৃতি গবেষণা কেন্দ্রের চেয়ারম্যান আলীউর রহমান প্রমুখ।
চট্টগ্রাম মহানগরীর রহমতগঞ্জ এলাকায় অবস্থিত যতীন্দ্র মোহন সেনগুপ্তের ঐতিহাসকি বাড়িটি। যাত্রা মোহন সেন প্রকাশ জে এম সেনের পুত্র ব্যারিস্টার দেশপ্রিয় যতীন্দ্রমোহন সেনগুপ্তও ছিলেন সর্বভারতীয় কংগ্রেসের নেতা। তিনি কলকাতার মেয়রও হয়েছিলেন। ব্রিটিশ স্ত্রী নেলি সেনগুপ্তাকে নিয়ে তিনি এই ভবনেই থেকেছিলেন। মহাত্মা গান্ধী, নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু, শরৎ বসু, মোহাম্মদ আলী, শওকত আলী এবং অসম বেঙ্গল রেলওয়ে আন্দোলনের নেতারা বিভিন্ন সময়ে এ বাড়িতে এসেছেন। ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের বিপ্লবী সূর্য সেন, অনন্ত সিংহ, অম্বিকা চক্রবর্তীর হয়ে মামলা লড়েছিলেন যতীন্দ্র মোহন সেন। এরপর ব্রিটিশ শাসকদের রোষানলে পড়া যতীন্দ্র মোহন সেন ১৯৩৩ সালে কারাগারে মৃত্যুবরণ করেন। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।